Panchayat Samiti president accused of awarding work to close associate through irregularities in tender process: টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগ তুলে BJP পরিচালিত মালদহের হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের অভিযোগ, অনলাইন পদ্ধতি বাদ দিয়ে অবৈধভাবে অফলাইনে ২৫ লক্ষ টাকার সোলার লাইটের টেন্ডার ছাড়া হয়। এমনকী বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির ঘনিষ্ঠ এক ঠিকাদারকেই এই কাজ পাইয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই টেন্ডারের পদ্ধতি নিয়ে জালিয়াতি করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। সম্পূর্ণ বিষয়টি নিয়ে ব্লক এবং জেলা প্রশাসনের কাছেও লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের নির্বাচিত সদস্যরা।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৯ জানুয়ারি হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতির মাধ্যমে সোলার লাইট বসানোর জন্য ২৫ লক্ষ টাকার টেন্ডার ডাকা হয়। অনলাইন পদ্ধতিতে এই টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ থাকলেও অবৈধভাবে অফলাইনে সেই টেন্ডার প্রক্রিয়া ছাড়া হয়েছে বলে অভিযোগ। পুরো ঘটনাটি নিয়ে বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির বিরুদ্ধে টেন্ডারের জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল।
হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল দলের নির্বাচিত সদস্য অজয় গুপ্তা বলেন, "২৯ জানুয়ারি অফলাইনে এই টেন্ডারটি ছাড়া হয়। বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুখীরানী সাহা তার ঘনিষ্ঠ এক ঠিকাদারকে ২৫ লক্ষ টাকার কাজ পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। সংশ্লিষ্ট ব্লকে ২৮টি সোলার পথবাতি বসানোর জন্যই ২৫ লক্ষ টাকার এই টেন্ডার ছাড়া হয়।"
আরও পড়ুন- West Bengal News Live: 'মোদীর মুখে ঐক্যের কথা, অথচ সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ছড়াচ্ছেন শুভেন্দু-সুকান্তরা', সোচ্চার তৃণমূল
তিনি আরও বলেন, "অত্যন্ত গোপনে বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তার ঘনিষ্ঠকে কাজ পাইয়ে দিয়েছে। আমরা এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছি। কারণ , অবৈধভাবে এই টেন্ডারের পাশাপাশি তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের এলাকাতেও এই পথবাতি বসানোর কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। পুরো বিষয়টি ব্লক ও জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।"
হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতির মোট আসন সংখ্যা ৩২টি। ১৬ টি আসন পেয়ে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এককভাবে এই পঞ্চায়েত সমিতির দখল করেছে বিজেপি। ১৩ টি আসন রয়েছে তৃণমূলের দখলে। সিপিএমের দখলে রয়েছে দুটি আসন এবং কংগ্রেসের দখলে রয়েছে একটি আসন। বিজেপি পরিচালিত হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুখীরানী সাহার সঙ্গে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন- Suvendu-Dilip: দীর্ঘদিন পর এক ফ্রেমে শুভেন্দু-দিলীপ, চনমনে BJP বিধায়করা, মিলছে 'বড় ইঙ্গিত'!
মালদহ জেলা পরিষদের কার্যনির্বাহী আধিকারিক তথা অতিরিক্ত জেলাশাসক সেখ আনসার আহমেদ জানিয়েছেন, টেন্ডারের অনিয়মের অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য ডিপিআরডিও এবং হবিবপুরের বিডিও-কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অনলাইন পদ্ধতি বাদ দিয়ে কেন অফলাইনের মাধ্যমে টেন্ডার ছাড়া হল সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে ওই টেন্ডার বাতিল করা হতে পারে বলেও জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলাশাসক।