শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সরকারি গাড়ি বিধানসভায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে, ফেরত দিয়েছেন গাড়ির চাবি। বিধানসভায় গাড়ি রাখার পিছনে রহস্য় দেখছে রাজনৈতিক মহল। তবে কি তৃণমূলের মহাসচিবকে দফতরের মন্ত্রিত্বেই রাখা হবে নাকি দফতরবিহীন মন্ত্রী থাকবেন পার্থ? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
Advertisment
এর আগে সারদা-কাণ্ডে মদন মিত্র গ্রেফতার হওয়ার পর দীর্ঘ সময় তিনি রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব জানিয়েও দিয়েছিল মদন মিত্র গ্রেফতার হলেও মন্ত্রিত্বে থাকবেন। পরবর্তীতে ২০২১ সালে বিধানসভায় বিপুল জয়ের পর নারদাকাণ্ডে রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিমরা স্বল্প সময়ের জন্য় গ্রেফতার হয়েছিলেন। সেক্ষেত্রেও মন্ত্রিত্বে থাকা নিয়ে কোনও হেরফের হয়নি। তৃণমূল কংগ্রেস বরাবরই দাবি করে আসছে বিজেপি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য সিবিআই, ইডি দিযে দলীয় নেতৃত্বকে ফাঁসিয়ে দিচ্ছে। অর্থাৎ মন্ত্রিত্ব থেকে সরানোর কোনও প্রশ্ন ওঠে না।
এর আগে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতও মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিল। যদিও বহাল তবিয়তেই তিনি মন্ত্রিত্ব চালিয়ে এসেছেন। তবে সোমবার রাজ্য সরকারের গাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার পর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ইচ্ছা বা দলের অবস্থান নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কৌতুহল বেড়ে গিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কী সাময়িক ভাবে তাঁর দফতর অন্য কেউ সামলাবেন? সেই সম্ভাবনাই প্রকট।
রাজ্যের শিল্প ও পরিষদীর দফতরের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করে রাজ্যের শিল্পস্থাপনের কাজ এগোবে কী করে? বিরোধীদের প্রশ্ন, কোনও শিল্পপতি দেখা করতে গেলে কার সঙ্গে দেখা করবেন, কে কথা বলবে তাঁর অনুপস্থিতে? মন্ত্রী তো এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হেফাজতে। রাজনৈতিক মহলের মতে, কতদিন পর জামিন মিলবে তা অনুমান করাও সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্ত্রিত্ব বদল হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
২০২১-এর নির্বাচনের পর অর্থ দফতরের দায়িত্ব নিজের হাতেই রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। পরবর্তীতে প্রতিমন্ত্রী করা হয় চন্দ্রিমা ভাট্টাচার্য্যকে। শিল্পের মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতরের দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাতেই রাখতে পারেন বলে নবান্ন সূত্রে খবর।