Bhai phota sweets: পোস্তের রসকদম্ব, দুধ চমচম, ক্ষীরের রসমালাই এমনই রকমারি মিষ্টি ভাইফোঁটায় চমক দিচ্ছে মালদায়। মালদার ইংরেজবাজার শহরের অধিকাংশ মিষ্টির দোকানে সুস্বাদু বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি কিনতে হিড়িক পড়ে গিয়েছে ক্রেতাদের মধ্যে। বিভিন্ন মিষ্টির দোকান খুলতেই সেই যে ক্রেতাদের লাইন শুরু হয়েছে, শেষ হওয়ার অপেক্ষায় রাখে না। ভাইফোঁটায় (Bhaiphota) মন মাতানো মিষ্টি কিনতে এখন অধিকাংশ ক্রেতারা ইংরেজবাজার শহরের নেতাজি সুভাষ রোড, গৌউরোড এলাকার কয়েকটি প্রসিদ্ধ মিষ্টির দোকানে ভিড় জমিয়েছেন।
যদিও মিষ্টি বিক্রেতাদের বক্তব্য, ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যে রয়েছে মিষ্টির দাম। ১০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০ টাকা পর্যন্ত মিষ্টি রাখা হয়েছে। কিন্তু ভাইফোঁটার মধ্যে বাজারে ছানা এবং ক্ষীরের যেন আকাল পড়ে গিয়েছে। চাহিদা অনুপাতে পাইকারেরা ক্ষীর এবং ছানার জোগান মিলছে না। ফলে ক্রেতাদের চাহিদা মতো রকমারি মিষ্টি বানাতে গিয়েও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ইংরেজবাজার শহরের নেতাজি সুভাষ রোড এলাকায় রয়েছে প্রতিষ্ঠিত মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী রতন সুইটস। সেখানে এবার থরে থরে সাজানো রয়েছে পোস্তের রসকদম্ব, দুধ চমচম, ক্ষীরের কানসার্ট। এক পিসের দাম ১০ টাকা। ক্ষীরের রসমালাই, মিহিদানা থেকে বুদে আবার মিষ্টি দই রকমারি এই মিষ্টি কিনতেই ওই দোকানে লাইন উপচে পড়েছে।
সংশ্লিষ্ট দোকানের মিষ্টি ব্যবসায়ী অঞ্জন কুমার দাস বলেন, "ভাইফোঁটার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টির চাহিদা ব্যাপক। আরও অনেক রকমের মিষ্টি বানানোর ইচ্ছে ছিল। কিন্তু ছানা এবং ক্ষীরের উৎপাদন কমে গিয়েছে। জানি না এটা কেন হয়েছে। ফলে ক্রেতাদের চাহিদা মতোন বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি বানাতে গিয়েও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তবে এবারে রসকদম্ব থেকে দুধের চমচমের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। দশ টাকা পিস হিসেবে বিক্রি হলে তার নিমিষের মধ্যে শেষ হয়ে যাচ্ছে।"
আরও পড়ুন- Digha: কলকাতা থেকে দিঘা যাওয়ার 'নতুন রুট', দুরন্ত প্ল্যান! নিমেষে পৌঁছোতে পারেন সৈকতনগরীতে
আরও পড়ুন- Garfa Woman Death: গড়ফায় রহস্যমৃত্যু তরুণীর! খুন না আত্মহত্যা, নাকি দুর্ঘটনা? তদন্তে পুলিশ
মালদা জেলা মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির কর্মকর্তা বিজয় দাস বলেন, "সারা বছরই বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি বানিয়ে চমক দেওয়া হয়। মালদার কানসার্ট, রসকদম্বের সুনাম দেশজুড়ে রয়েছে। ভাইফোঁটার মধ্যে অনেকেই মালদার মিষ্টি বিদেশে নিয়ে যান। লালমোহন, ল্যাংচা, সন্দেশ, লাড্ডু , মিহিদানা ভাইফোঁটার মধ্যে সব রকমের মিষ্টির চাহিদায় রয়েছে চরম। কিন্তু ছানা ও ক্ষীরের উৎপাদন কমে গেছে। মালদার ইংরেজবাজার ব্লকের মহদিপুর এলাকা থেকেই মূলত ছানা এবং ক্ষীর বিক্রি করতে আসেন পাইকারেরা। ধীরে ধীরে এই ব্যবসা থেকে অনেকেই মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। ফলে মিষ্টির ব্যবসার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয়ের মধ্যে রয়েছি আমরা।"
আরও পড়ুন- Kolkata Metro: উৎসবের মরশুমে পাতালপথে নয়া ইতিহাস! গর্বের জবর খবর শেয়ার কলকাতা মেট্রোর