Pahalgam terror attack : ২২শে এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিরীহ মানুষ প্রাণ হারানোর ঘটনার তদন্তে এক প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানে মামলায় নতুন মোড় এনেছে। জাতীয় তদন্ত সংস্থা (NIA)-র কাছে দেওয়া ওই সাক্ষ্যে উঠে এসেছে পাকিস্তানি জঙ্গিদের ভূমিকা ও স্থানীয় সহযোগিতার 'বিস্ফোরক' তথ্য।
সূত্র অনুযায়ী, প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন যে হামলার পরে তিনজন পাক সন্ত্রাসবাদী ঘটনাস্থলে চার রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে উদযাপন করে। সে সময় তিনি এই ঘটনার সময় ঘটনাস্থলের কাছেই ছিলেন। এই প্রত্যক্ষদর্শীকে বর্তমানে 'স্টার প্রোটেক্টেড উইটনেস' হিসেবে ঘোষণা করেছে এনআইএ। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় তাঁকে শনাক্ত করা হয়।
এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, “জঙ্গিরা তাঁকে থামিয়ে কলমা পড়তে বলে। তিনি কলমা পারায় সন্দেহ দূর হয় এবং তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।” এই ঘটনার ভিত্তিতে ঘটনাস্থল থেকে চারটি খালি কার্তুজও উদ্ধার করেছে এনআইএ। প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্যে উঠে এসেছে পারভেজ আহমেদ জোথার ও বশির আহমেদ নামক দুই স্থানীয় বাসিন্দার নাম, যারা জঙ্গিদের ব্যাগ বয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছিল। তাদের দু’জনকেই ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
হামলার পরিকল্পনা: ২১শে এপ্রিল থেকে ২২শে এপ্রিল
সূত্র জানিয়েছে, ২১ এপ্রিল বিকেল ৩:৩০ নাগাদ তিনজন পাক জঙ্গি পারভেজের বাড়িতে পৌঁছায় এবং চার ঘণ্টা ধরে এলাকা রেকি করে। যাওয়ার সময় পারভেজের স্ত্রীর কাছ থেকে খাবার নিয়ে এবং ৫০০ টাকার পাঁচটি নোট দিয়ে তারা সেই স্থান ত্যাগ করে। পরদিন দুপুর ১২:৩০ নাগাদ তারা বশিরের সাথেও যোগাযোগ করে।
সুলেমান শাহের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ
এনআইএ মনে করছে, লস্কর-ই-তৈয়বা জঙ্গি সুলেমান শাহ – যিনি আগেও শ্রমিক হত্যাকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন – এই হামলার পিছনে মূল পরিকল্পনাকারী হতে পারেন। এই মুহূর্তে এনআইএ পুরো জঙ্গি নেটওয়ার্ক, পাক সংগঠনের সংযোগ এবং স্থানীয় সহযোগীদের চিহ্নিত করতে তদন্তের পরিধি বাড়িয়েছে।