PM Awas Yojana: আবাস যোজনায় রেশন ডিলারের নাম ওঠায় শোড়গোল পড়ে গিয়েছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার মালিওর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সোনাকুল এলাকায়। অভিযোগ, প্রকৃত উপভোক্তাদের অনেকেই পাকাঘর পাওয়ার তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। অথচ এই আবাস যোজনায় নাম উঠে এসেছে সংশ্লিষ্ট এলাকার রেশন ডিলার রফিকুল ইসলামের। পাশাপাশি মালিওর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের এক নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যার কয়েকজন আত্মীয়ের নাম উঠেছে এই তালিকায়। যাঁদের প্রত্যেকের পাকাঘর রয়েছে । আর এই ঘটনাকে ঘিরেই তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক।
উল্লেখ্য, চাঁচল মহকুমার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের মালিওর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সোনাকুল গ্রাম। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর আবাস প্রকল্পের সার্ভে শুরু হওয়ার পর বিভিন্ন পঞ্চায়েতে প্রাথমিক আবাস যোজনার নামের তালিকা এসেছে। বহু এলাকায় ক্ষোভ বিক্ষোভ ছড়িয়েছে। এবার এই সোনাকুল গ্রামে আবাস যোজনার তালিকায় দেখা গেল ব্যাপক ভুল-ভ্রান্তি। ওই এলাকার বাসিন্দা জ্যোৎস্নারা খাতুন। স্বামী কাজী নজরুল ইসলাম ভিন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন।
জ্যোৎস্নারা খাতুনের বক্তব্য, অর্থাভাবে পাকা বাড়ি করতে পারেননি। নাম ছিল আবাস যোজনার তালিকায়। সার্ভের সময় প্রতিনিধিরা এসেছিলেন তাঁর বাড়িতে। কিন্তু তারপরে হঠাৎ তালিকা থেকে বাদ হয়ে যায়। ওই উপভোক্তার আরও অভিযোগ, কী কারনে হল তা জানতেও পারলাম না। অথচ এলাকার রেশন ডিলার থেকে শুরু করে স্থানীয় এক পঞ্চায়েত সদস্যার আত্মীয়দের যাদের পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও আবাস প্রকল্পের তালিকায় নাম রয়েছে।
আরও পড়ুন রাতারাতি উধাও নীল-সাদা, পঞ্চায়েতের ভবনের রঙ বিতর্কে তুঙ্গে রাজনৈতিক চর্চা
কী বক্তব্য রেশন ডিলারের?
পঞ্চায়েত সদস্যা লুৎফুন নেসার দেওর তথা এলাকার রেশন ডিলার রফিকুল ইসলাম বলেন, নাম রয়েছে এই তালিকায়। ২০১৮ সালের তালিকায় তাঁর নাম ছিল। তখন তিনি ডিলার ছিলেন না। এখন কীভাবে নাম উঠেছে সেটা বলতে পারব না। তবে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে আবেদনে জানিয়েছি এই তালিকা থেকে যেন নামটা বাদ দিয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে হরিশ্চন্দ্রপুর মালিয়র ২ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বাবলি খাতুনের স্বামী ফিরোজ হোসেন বলেন, বেশ কিছু ক্ষেত্রে এরকম অভিযোগ এসেছে। অযোগ্য উপভোক্তাদের নাম বাদ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ব্লক প্রশাসন বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।
কী জানিয়েছেন বিডিও?
হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের বিডিও তাপস কুমার পাল জানিয়েছেন, অনেকে সার্ভের সময় মিসগাইড করতে পারে। তাই প্রাথমিক তালিকার পর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে চূড়ান্ত তালিকা হবে। এরকম যাঁদের নাম থাকবে নাম বাদ যাবে।