/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/22/modi-in-kolkata-2025-08-22-19-48-15.jpg)
বাঙালি অস্মিতায় শান দিয়ে বাংলা ও বাঙালির মন পেতে মরিয়া মোদী এদিনের ভাষণে বাংলাতেও বেশ কিছু 'স্লোগান' দেন।
PM Modi Attack TMC: বাংলায় এবার 'আসল' পরিবর্তনের ডাক প্রধানমন্ত্রী মোদীর। নামে নয় কাজে চাই 'প্রকৃত বদল'। এভাবেই শুক্রবার বঙ্গ সফরে তৃণমূলকে নিশানা প্রধানমন্ত্রীর। দমদমে এক দলীয় কর্মসূচীতে মোদী তাঁর ভাষণে বাংলার জন্য বরাদ্দ উন্নয়নের টাকা লুট হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, 'তৃণমূল সরকার দিল্লি থেকে পাঠানো বাংলার উন্নয়নের টাকা লুট করছে এবং সেই টাকা তাদের ক্যাডারদের পিছনে খরচ করা হচ্ছে'।
শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর স্বপ্নের বাংলা গড়ার জন্য বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মোদী বলেন, 'আমরা এমন এক বাংলা গড়ে তুলতে চাই যেখানে বাংলার মানুষ বাংলাতেই কাজ করবে। নারীরা অবাধে কর্মক্ষেত্রে কাজ করবেন। কৃষকরা ফসলের ন্যায্য মূল্য পাবেন। মানুষ সম্মানের সঙ্গে মাথা উঁচু করে বাঁচবে। আত্মনির্ভর ভারতের পাশাপাশি আত্মনির্ভর বাংলা গড়ার পক্ষে জোরালো সওয়াল করেন প্রধানমন্ত্রী। মোদী বলেন,"বাংলার হারানো গৌরব আমাদের ফিরিয়ে আনতে হবে"।
আরও পড়ুন- 'দুর্নীতিতে রেয়াত নয়', কেন টেনে আনলেন 'পার্থ-জ্যোতিপ্রিয়'র প্রসঙ্গ? ভোটের আগেই বড় কোন ইঙ্গিত?
'বন্ধ কল কারখানা আবার খুলবে, দমদম আবার শিল্পনগরীতে পরিণত হবে', উল্লেখ প্রধানমন্ত্রীর। এদিনের ভাষণে মোদী বলেন, 'বিকশিত বাংলা মোদীর গ্যারান্টি'। সেই সঙ্গে টিএমসি উন্নয়নের আসল শত্রু বলে নিশানা নমোর।
উন্নত দেশ গড়ার সবচেয়ে বড় বাধা 'অবৈধ অভিভাসী। অনুপ্রবেশ ইস্যুতে তৃণমূলকে তুলোধোনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "অনুপ্রবেশকারীরা আমাদের বেকার তরুণদের রোজগারে থাবা বসাচ্ছে, মহিলাদের উপর অত্যাচার করছে। তৃণমূল-কংগ্রেস তুষ্টিকরণের নামে অনুপ্রবেশকারীদের রক্ষা করছে। আমাদের রোজি-রুটি যারা ছিনিয়ে নিচ্ছে তাদেরই প্রশয় দিচ্ছে তৃণমূল"।
আরও পড়ুন- আরও ২২ কিলোমিটার মেট্রো সম্প্রসারণ! মোদীর সভা থেকে মিলল বিরাট প্রতিশ্রুতি
মোদী এদিন সংবিধান সংশোধনী বিলের বিরোধীতাতেও তৃণমূলকে নিশানা করেন। মোদী বলেন, "একজন সাধারণ কর্মচারিকে যদি পুলিশ কোন কারণে আটক করে এবং ৫০ ঘন্টাতেও তিনি জামিন না পান, তাহলে তিনি সাসপেন্ড হয়ে যান। সেখানে একজন মুখ্যমন্ত্রী-মন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রী যদি জেলে যায়, তার বিরুদ্ধে কোন 'নিয়ম' ছিল না। জেলে থেকেও সরকার চালানোর কৌশল চলছে বলে কটাক্ষ করে মোদী বলেন, 'টিএমসির এক মন্ত্রী শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে জেল বন্দী। তাও কুর্সি ছাড়তে তিনি রাজি ছিল না। তৃণমূলের আরও এক মন্ত্রী রেশন দুর্নীতি মামলায় জেলে গেলেও মন্ত্রী পদ ছাড়তে রাজি ছিলেন না। এমন লোক, যারা মানুষকে ধোঁকা দিচ্ছে। তার সরকারে থাকার কোন অধিকার নেই। এটা সংবিধানের অপমান। আমি এটা মানব না। প্রধানমন্ত্রীর ক্ষেত্রেও এই আইন প্রযোজ্য তাহলে কীসের এত বিরোধীতা'? টিএমসি-র রাজনীতি দুর্নিতির উপর টিকে রয়েছে বলে ভয়ঙ্কর নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী।