অক্ষয়কুমারের সঙ্গে মোদীর সেই সাক্ষাৎকারের কথা মনে আছে? প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, শৈশব থেকেই আমের প্রতি দুর্বলতা রয়েছে তাঁর। গাছ থেকে পাকা আম পেড়ে তা হাতে নিয়ে খাওয়ার আনন্দটাই আলাদা। সেই আনন্দে ছোটবেলায় মেতে উঠতেন মোদিও। আবার পানীয় হিসেবে চা-ও রয়েছে তাঁর পছন্দের তালিকায়। আগামী ২৯ মে যখন তিনি আলিপুরদুয়ারে আসবেন, তাঁকে স্বাগত জানাতে তাই হিমসাগর আম ও দার্জিলিং চায়ের আয়োজন করতে চাইছে জেলা BJP নেতৃত্ব।
প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক সভা করবেন তিনি। সেই সফরে দলের তরফে মধ্যাহ্নভোজনের আয়োজন করা হবে। একথা নিশ্চিত করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। তবে প্রধানমন্ত্রীর খাদ্যতালিকায় কী কী থাকবে, তা এখনই চূড়ান্ত করে বলতে পারছেন না কেউ। আপাতত ভাবনাচিন্তা চলছে। কারণ এই তালিকা আগে প্রধানমন্ত্রীর অফিস (পিএমও) থেকে অনুমোদিত হয়ে আসতে হবে। খাদ্যতালিকায় কী রাখবেন তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন দীপক বর্মনের মতো বিজেপির নেতারা, যাঁদের ওপর রয়েছে আয়োজনের ভার।
বিজেপি রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা প্রধানমন্ত্রীর এই কর্মসূচির আহ্বায়ক দীপক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কোথাও দীর্ঘ সফর করলে দলীয়ভাবে মধ্যাহ্নভোজনের আয়োজন করা হয়। এর আগে ২০১৬ সালে যখন তিনি জেলায় এসেছিলেন, তখন কচু দিয়ে এক বিশেষ পদ রাখা হয়েছিল তাঁর খাদ্যতালিকায়। এবার এখনও সেভাবে কিছু চূড়ান্ত হয়নি। তবে স্থানীয় কোন কোন পদ থাকবে তা নিয়ে বৈঠক করা হবে।’
আরও পড়ুন- apple farming: মংপুর আপেলে কাশ্মীরের স্বাদ! পরীক্ষামূলক চাষে অভূতপূর্ব সাফল্য
দলীয় সূত্রে খবর, মূলত পিএমও প্রধানমন্ত্রীর খাবারদাবারের বিষয়টি দেখভাল করে থাকে। তবে কোথাও অনেকটা সময় কাটালে দলীয় স্তরে আলাদাভাবে খাবার আয়োজন করা হয়। সিকিমে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার আগে প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রধানমন্ত্রী অনেকটা সময় কাটাবেন। দুটি বৈঠক মিলে প্রায় দেড় ঘণ্টার মতো তিনি আলিপুরদুয়ারে কাটাতে পারেন বলে খবর। এই দেড় ঘণ্টায় তাঁকে কী খাওয়ানো যেতে পারে তা নিয়েই এখন চিন্তায় পড়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।
প্রধানমন্ত্রী যেহেতু প্যারেড গ্রাউন্ডে এক ঘণ্টার বেশি থাকবেন, তাই তাঁকে অন্তত দু’বার চা দেওয়া হতে পারে। সেজন্য একেবারে উন্নত মানের দার্জিলিং চায়ের ব্যবস্থা করা হবে। প্রশাসনিক বৈঠকের আগে তাকে চা দিয়েই স্বাগত জানানো হবে। প্রথম বৈঠকের পর তাঁকে একটি প্লেটে সুস্বাদু হিমসাগর আম কেটে দেওয়া হতে পারে। মঞ্চের ওপরই একটি ঝুড়িতে করে আম উপহার হিসেবেও দেওয়া হতে পারে প্রধানমন্ত্রীকে।
আরও পড়ুন- Kolkata News Live Updates: চাকরিহারা আন্দোলনকারীরা এবার দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে? আন্দোলনের ভোল বদলাতে মেগা প্ল্যান
প্রধানমন্ত্রীর কী কী খাদ্য পছন্দ তা জানতে বিজেপির নেতারা এখন সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্যও নিচ্ছেন। ইন্টারনেট ঘেঁটে নাকি প্রধানমন্ত্রীর পছন্দের খাবারের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। বিজেপির এক জেলা স্তরের নেতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে কী খাওয়াব, সেটা নিয়ে সত্যিই আমরা চিন্তিত। তবে তাঁর পছন্দের গুজরাটি পদ হিসেবে তাওয়া রুটি, ডাল, সবজি ও স্যালাড রাখা হবে। পাশাপাশি সজনে ডাঁটা দিয়ে তৈরি ড্রামস্টিক পরোটাও রাখার চিন্তাভাবনা চলছে। মেনুতে আমাদের এলাকার ঢেঁকিশাক রাখার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছি।’
আরও পড়ুন- Udayan Guha On Operation Sindoor: মোদীর সফরের আগে মমতার মন্ত্রীর তোলপাড় ফেলা মন্তব্য, বঙ্গ রাজনীতিতে হুলস্থূল
মোদি এর আগে ২০১৬ সালে বীরপাড়ায় রাজনৈতিক সভা করতে এসেছিলেন। সেবার নানা খাবারের সঙ্গে পাতে ছিল কচু দিয়ে তৈরি এক বিশেষ পদ। তবে প্রধানমন্ত্রী ওই সময় বীরপাড়াতে মধ্যাহ্নভোজন করেছিলেন কি না, তা স্পষ্ট জানাতে পারেনি বিজেপি নেতৃত্ব।