/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/26/malda-2025-08-26-16-57-47.jpg)
Police attacked: সালিশি সভায় পুলিশের উপর হামলা।
Police attacked in Harishchandrapur:গরু বাঁধতে গিয়ে তরুণীকে ইভটিজিং। পুলিশে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেও স্থানীয় তৃণমূল নেতার চাপে গ্রামেই বিচার সালিশি। সেখানে অভিযুক্ত যুবককে মারধর। খবর পেয়ে পুলিশ উদ্ধার করতে গেলে তৃণমূল নেতার নিদানে এলাকাবাসীর হাতে আক্রান্ত পুলিশ। পুলিশকে বেধড়ক মারধর ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। শেষমেশ পাল্চা বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। যদিও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূল নেতার।
মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সুলতান নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাটিওন গ্রামের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ওই গ্রামের এক তরুণী মাঠে গরু বাঁধতে গিয়েছিল। অভিযোগ, সেই সময় স্থানীয় এক যুবক কাগজে লিখে তাকে ফোন নাম্বার দিতে যায়। নিতে অস্বীকার করলে অশ্লীল ব্যবহার করে। তরুণী পরিবারকে জানানোর পর হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযুক্তকে ধরতে গেলে পুলিশ জানতে পারে ইভটিজিংয়ের ঘটনা নিয়ে গ্ৰামে সালিশি সভা বসিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতা জিয়াউল হক। সেখানে অভিযুক্ত যুবককে মারধর করা হচ্ছিল।
সেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পুলিশি হস্তক্ষেপ করা পছন্দ হয়নি বিচার সভার মাতব্বরদের। ফলে পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে উদ্ধার করতে গিয়ে মারমুখী জনতার মুখে পরে যায় পুলিশ। বাঁশ, লাঠি, ইট, পাথর দিয়ে পুলিশের উপর ঝাপিয়ে পড়ে বিচার সভার মাতব্বরেরা। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়ি।
আরও পড়ুন-Mamata Banerjee: বর্ধমানে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের মাঝেই হইহই-কাণ্ড! শেষমেশ যা হল...
তরুণীর পরিবারের দাবি, ওই তৃণমূল নেতার নিদানেই পুলিশের উপর আক্রমণ হয়। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হলে অতিরিক্ত পুলিশবাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান হরিশচন্দ্রপুর থানার আইসি মনোজিৎ সরকার। ততক্ষণে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ডাটিওন গ্ৰাম। মারধরে দুই পুলিশ অফিসার সহ ৫ পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন।
আহতদের হরিশচন্দ্রপুর গ্ৰামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি মনোজিৎ সরকারকেও হেনস্থা হতে হয়। জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন স্থানীয় গ্ৰামবাসীও। এই ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত যুবককে উদ্ধার করে তাকে গ্ৰফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় এক যুবক গ্ৰামের এক তরুণীকে প্রথমে মোবাইল নম্বর দিতে বলে। কিন্তু ওই তরুণী তাতে কর্ণপাত করেনি। এরপর তার সঙ্গে ওই যুবক অশালীন ব্যবহার করে বলে অভিযোগ তরুণীর।
আরও পড়ুন-Suvendu-Mamata:'CBI তদন্তের সরাসরি সুবিধাভোগী মমতা', আগুনে অভিযোগে পুলিশকে ধুয়ে দিলেন শুভেন্দু!
সোমবার দুপুরে এই ঘটনার পরেই হরিশচন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে তরুণীর পরিবার। কিন্তু পুলিশ ধরার আগে গ্রামবাসীরা অভিযুক্ত তরুণকে নিয়ে সালিশি সভা বসায় গ্রামে। খবর পেয়ে সালিশি সভা বন্ধ করে অভিযুক্ত যুবককে উদ্ধার করতে গিয়ে গ্রামবাসীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশকর্মীদের।
এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার ৫ জন। গতকাল সেই ঘটনার পর থেকে আজও এলাকা থমথমে। কার্যত পুরুষশূন্য গোটা গ্ৰাম। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। যদিও ওই তৃণমূল নেতার দাবি, তিনি বিচার-সভা বসাননি। মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। তবে শাসকদলকে নিশানা করেছে BJP।