Adhir Chowdhury at RG Kar: আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে পুলিশি বাধার মুখে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। আরজি করের ভিতরে ঢুকতে চেয়েছিলেন প্রাক্তন সাংসদ। তাঁকে বাধা দেন নিরাপত্তায় থাকা কলকাতা পুলিশের কর্মীরা। এরপরেই পুলিশকে তুলোধনা কংগ্রেস নেতার।
আরজি করের নির্যাতিতার পরিবারকে পুলিশ 'গৃহবন্দি' করে রেখেছে বলেও এদিন অভিযোগ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেসের এই শীর্ষনেতা।
এদিন মূলত আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন অধীর চৌধুরী। আরজি করের গেটে ঢুকতেই তাঁকে বাধা দেন কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা। অধীরক চৌধুরীর সঙ্গে এরপর এক আন্দোলনকারী চিকিৎসক বেরিয়ে এসে কথা বলেন।
অধীর তাঁকে বলেন, "আমি কি আন্দোলনকারীদের জল দিতে পারি?" কংগ্রেস নেতার একথার উত্তরে ওই আন্দোলনকারী পড়ুয়া তাঁকে বলেন, "আমাদের ফান্ড আছে, এখনই দরকার নেই।" এরই পাশাপাশি পুলিশের তরফেও অধীর চৌধুরীকে জানানো হয় কোনও রাজনৈতিক নেতার আরজি কর মেডিকেলের ভিতরে প্রবেশে এখনই অনুমতি নেই।
এরপরেই কলকাতা পুলিশের কর্তব্যরত ওই অফিসারদের তুলোধোনা করে অধীর চৌধুরী বলেন, "যে কড়াকড়ি পুলিশ এখন দেখাচ্ছে সেটা আগে করলে ঘরের মেয়েকে এভাবে মরতে হতো না। আমার মনে হল আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করা উচিত, তাই এসেছিলাম। জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানাতে এসেছিলাম। নির্যাতিতার পরিবারকে গৃহবন্দি করে রেখেছে পুলিশ। তাঁদের বাড়ির বাইরে বেরোতে দেওয়া হচ্ছে না। "
আরও পড়ুন- পুজোর আগেই চিড়িয়াখানায় নতুন অতিথিরা, জন্ম দুটি তুষার চিতা, চারটে রেড পান্ডার
পুলিশের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ তুলে অধীর এদিন আরও বলেন, "ঘটনার দিন মেয়েটির মৃতদেহের সঙ্গে তাঁদের বাড়ির লোককে পর্যন্ত যেতে দেয়নি। পুলিশ প্রথমে টাকার অফার করেছিল নির্যাতিতার বাবাকে। ঘটনার তথ্য প্রমাণ লোপাট করার জন্য পুলিশ তৎপর হয়েছিল সেদিন।" আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতিরও একটি বিরাট অভিযোগ সামনে এসেছে। এক্ষেত্রে অধীর এদিন চিকিৎসক শ্যামাপ্রসাদ নামে এক ব্যক্তির প্রসঙ্গ তোলেন। ওই ব্যক্তির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে বলে অধীর চৌধুরীর দাবি।
আরও পড়ুন- Eastern Rail: কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠে যাবেন? স্পেশাল ট্রেন চালাচ্ছে পূর্ব রেল, জানুন বিস্তারিত
আরও পড়ুন- Eastern Rail: হাওড়া ও শিয়ালদহ থেকে রোজ কতগুলি ট্রেনের শহরতলীতে যাতায়াত? জানলে মাথা ঘুরে যাবে!