Onion Price Hike: স্বাদের রান্না করতে বাঙালির কালঘাম ছুটে যাচ্ছে, পেঁয়াজ, রসুনের দাম কিছুতে কমছে না। সবজির বাজারের আগুন! রাজ্য সরকারের হাজার প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও আলুর দাম কমেনি বাজারে। শীত পড়তে শুরু করলেও এখনও সবজি কিনতে গেলেই ছ্যাঁকা লাগছে ক্রেতাদের। গত এক বছর ধরেই রসুনের দাম সাধারণের নাগালের বাইরে। খুচরা বাজারে কেজি প্রতি কখনও ৪০০ ও ৫০০ টাকা। এখন রসুনের দর ৫০০ টাকা কেজি। পেঁয়াজের দাম এখন সাধারণ ক্রেতাদের লাগালের বাইরে। খোলা বাজারে ৮০ টাকা কেজি হলেও কোথাও কোথাও ৮৫-৯০ টাকা কেজি চলছে পেঁয়াজের। কেন পেঁয়াজের এই দাম? কবে কমতে পারে এই দাম?
আকাশছোঁয়া দাম পেঁয়াজের। বামফ্রন্ট আমলে আশির দশকে একবার নির্বাচনে বিরোধীরা স্লোগান দিয়েছিল, "আপেল-পেঁয়াজ একদর, বিনয়-জ্যোতি মাতব্বর"। পেঁয়াজের দর নিয়ে হচইচই বেধে গিয়েছিল রাজ্যজুড়ে। এদিকে এখন রাজ্যে টানা পেঁয়াজের গড় দর থাকছে ৫০ টাকা। টানা কয়েক দিন ধরে পেঁয়াজের দর শুনলেই ঝাঁঝে চোখ জল আসছে ক্রেতাদের। কেজি প্রতি ৮০ টাকার নীচে খোলা বাজারে কোথাও পেঁয়াজ মিলছে না।
কোলে মার্কেটের সম্পাদক ও আড়ৎদার অভিজিৎ সাহা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, "গত মরশুমে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজ চাষ পিছিয়ে গিয়েছে। পেঁয়াজ জমি থেকে উঠতে দেরি হয়েছে। নতুন পেঁয়াজ উঠতে দেরি হচ্ছে। তাছাড়া মহারাষ্ট্রে এখন বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে। পাশাপাশি ৩০ টন গাড়ি আমদানি করতে পড়ছে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা। এত টাকা দিয়ে পেঁয়াজ নিয়ে আসার মত আড়ৎদার কম আছে। ফলত দাম অনেকটাই বেশি পড়ছে। তাহলে দাম কমবে কবে? অভিজিৎ সাহা বলেন, আগামী ৭ দিনের মধ্যে পেঁয়াজের দর কমে যাবে। পেঁয়াজের সংকট থাকবে না। আমদানিও বেড়ে যাবে। খোলা বাজারে কেজি প্রতি ৫০ টাকা দরে পেঁয়াজ মিলতে পারে।
আরও পড়ুন- Guru Nannak: বিশ্রাম নিচ্ছিলেন গুরু নানক, খানিক দূরেই ছিলেন বিশ্ববরেণ্য সাধক, বাংলার এতল্লাটে গর্বের ইতিহাস!
এদিকে রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে বলেন, "সাধারণত মহারাষ্ট্রের নাসিক থেকে এখানে পেঁয়াজ আসে। ওখানে বাজার দিওয়ালির সময় ৪ দিন বন্ধ থাকে। চাষিরা ৭ দিন পালন করে। বাংলায় পেঁয়াজ শর্টেজ হয়ে যায়। ৭০ টাকা পাইকরি কিনে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বাজারে। রাজস্থানের আলওয়ার, কর্নাটকের বেলারি থেকেও পেঁয়াজ আসছে। দর বৃদ্ধির ভিন্ন কারণ বললেও রবীন্দ্রনাথ কোলেরও দাবি, আগামী ৭ দিনের মধ্যে পেঁয়াজের কমে যাবে। পাশাপাশি এরাজ্যেও পেঁয়াজ রাখার স্টোরেজ ছিল না। তা তৈরি হচ্ছে।"