Advertisment

Guru Nannak: বিশ্রাম নিচ্ছিলেন গুরু নানক, কিছু দূরেই ছিলেন জগৎবরেণ্য সাধক, বাংলার এপ্রান্তে গর্বের ইতিহাস!

Guru Nannak: বাংলার এই জেলায় একই সময়ে এসেছিলেন বিখ্যাত এই দুই মনীষী। তাঁদের ঘিরে নানা কাহিনী এখনও এই জেলার মানুষের মুখে মুখে ঘোরেফেরে। অতীতের সেই সোনালী কাহিনী নতুন করে ফের চর্চায়।

author-image
Joyprakash Das
আপডেট করা হয়েছে
New Update
Guru Nanak: গুরু নানক

Guru Nanak: গুরু নানক।

Guru Nannak-Sri Chaitanya: রাজ্যের এই জেলায় এসেছিলেন খ্যাতনামা বহু সাধক থেকে শুরু করে মনীষীরা। আজ থেকে ৫১৪ বছর আগে অধুনা বর্ধমান শহরে এসেছিলেন শিখ ধর্মের প্রবর্তক গুরু নানক (Guru Nanak)। শিখ ধর্মের সূচনা করেছিলেন গুরু নানক। তাঁর জন্ম অখণ্ড ভারতের লাহোরের কাছে (বর্তমান পাকিস্তান) একটি গ্রামে। ধর্ম প্রচার করার উদ্দেশ্য নিয়েই তিনি দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়াতেন। এভাবেই ঘুরতে ঘুরতে একদিন নানক এসে পৌঁছেছিলেন এই বাংলায়। তিনি গিয়েছিলেন বর্ধমান শহরেও। সেখানে ছোট একটি নদীর তিরে গাছের তলায় বিশ্রাম নিয়েছিলেন গুরু নানক। কথিত আছে এখান থেকেই তিনি নাকি গিয়েছিলেন পুরী ধামের উদ্দেশে। বর্ধমানের সেই গাছতলায় পরবর্তী সময়ে একটি গুরুদোয়ারা তৈরি হয়েছিল। 

Advertisment

গুরু নানক কবে এসেছিলেন রাঢ়বঙ্গের জেলা বর্ধামানে? সেই সময় দুই ধর্মসাধক বর্ধমানে অবস্থান করছিলেন। ইতিহাসবিদ ড. সর্বজিৎ যশ বলেন, "গুরু নানক তখন ভারত-ভ্রমণ করছিলেন। বিশ্বের নানা দেশেও তিনি ঘুরেছেন। সালটা ১৫১০। তিনি কলকাতা থেকে বর্ধমানে এসেছিলেন। বর্ধমানে বিশ্রাম নিয়ে এখান থেকে আরামবাগ, মহাবালেশ্বর হয়ে পুরী গিয়েছিলেন। গড়গড়াঘাটে একটা গাছতলায় গুরু নানক বিশ্রাম নিয়েছিলেন। সেই গাছকে কেন্দ্র করে কয়েকবছর আগে সেখানে গুরুদোয়ারা তৈরি হয়েছে।"

বর্ধমানে পুরাতত্ব ও ইতিহাস নিয়ে দীর্ঘ বছর ধরে চর্চা করছেন অধ্যাপক সর্বজিৎ যশ। গুরু নানক যখন বর্ধমানে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন তখন আর এক মহাসাধক ছিলেন বর্ধমান থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে জেলারই আরেক জনপদে। এটাই ইতিহাসের অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য বিষয়। 

আরও পড়ুন- West Bengal News Live: অশোকনগরে রেল অবরোধ, কাল থেকেই হুড়মুড়িয়ে পারদ পতন?

আরও পড়ুন- West Bengal Weather Update: জমাটি শীত কবে থেকে? জাঁকিয়ে ঠাণ্ডা আনতে অসময়ের বৃষ্টিই করবে বাজিমাত?

আরও পড়ুন- Dankuni Incident: টোটোতেই স্ত্রীকে চাপিয়ে চার জেলা পাড়! অর্ধাঙ্গিনীর প্রাণ বাঁচাতে প্রৌঢ়ের কীর্তি দারুণ চর্চায়!

সর্বজিৎ যশ বলেন, "যখন গুরু নানক বর্ধমানে ছিলেন তখন মহাপ্রভু চৈতণ্য তখন কাটোয়ার মাধাইতলায় কেশব ভারতীর কাছে সন্ন্যাস গ্রহণ করেন। দুই মহাসাধক তখন বর্ধমান জেলার দুই প্রান্তে হাজির। যে পথে গুরু নানক পুরী গিয়েছিলেন সেই পথ ধরেই পরে মহাপ্রভু চৈতণ্য সেই তীর্থস্থানে গিয়েছিলেন। তখন এটাই ছিল মূলত পুরী যাওয়ার পথ।"

আরও পড়ুন- Doctor's Protest: আরজি কর আন্দোলন জারি রেখেই স্বাস্থ্য দফতর 'সাফাই'-এ সুর আরও চড়া

Purba Bardhaman Sri Chaitanya burdwan Guru Nanak
Advertisment