Dilip-Rinku Son Death News: দিলীপ ঘোষের স্ত্রী, রিঙ্কু মজুমদারের আগের পক্ষের ছেলের রহস্যমৃত্যু। নিউ টাউনের আবাসন থেকে আজ সকালে উদ্ধার হয় দেহ। ঠিক কী কারণে মৃত্যু হল প্রীতম দাশগুপ্তের তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। জানা গিয়েছে, প্রীতম একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। তার বয়স ২৬। আজ সকালে সাপুরজির একটি বিলাসবহুল আবাসন থেকে প্রীতমের দেহ উদ্ধার করা হয়। দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ছড়িয়েছে চূড়ান্ত চাঞ্চল্য। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে শীর্ষ পুলিশ আধিকারিকরা। আরজি কর হাসপাতালে আজই দেহের ময়নাতদন্ত খবর সূত্রের। কী কারণে প্রীতমের মৃত্যু হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে পৌঁছেছেন রিঙ্কু মজুমদার। তার সঙ্গে রয়েছেন আরও দু'জন। কিন্তু এখনও তার কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি। কিছুদিন আগেই বিয়ে হয় দিলীপ-রিঙ্কুর। সেই বিয়েতে তিনি খুশি বলেই জানিয়েছিলেন প্রীতম। তারপর থেকেই সাপুরজির আবাসনে একাই থাকতেন প্রীতম। আজ সকালে সেই আবাসন থেকেই প্রীতমের অচেতন দেহ উদ্ধার করা হয়। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় তোলপাড় পড়ে গিয়েছে রাজ্য-রাজনীতিতে।
পুলিশ সূত্রে খবর, আজ সকালে সাপুরজি আবাসনের ই ব্লকের আবাসন থেকে প্রীতমের নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় নিউটাউনের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখান থেকে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। ময়নাতদন্তের জন্য প্রীতমের মরদেহ আরজিকর হাসপাতালে পাঠানো হবে।
ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অর্থাৎ অটোপসি রিপোর্ট পাওয়ার পরেই বোঝা যাবে মৃত্যুর সঠিক কারণ। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, আত্মহত্যা করেছেন সৃঞ্জয়। জানা গেছে, সল্টলেকের একটি তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার কর্মী ছিলেন বছর ২৬-এর প্রীতম। মাসখানেক আগেই রিঙ্কু মজুমদার ও দিলীপ ঘোষের বিয়ের সময়ে সামনে এসেছিল রিঙ্কুর ছেলে প্রীতমের কথাও। সে সময়ে তিনি জানিয়েছিলেন, বেড়াতে যাওয়ার কথা আগেই ঠিক ছিল হোটেল ও আনুষঙ্গিক সব বুকিং হয়ে গেছে। সেই কারণে বিয়েতে উপস্থিত থাকতে পারছেন না। কিন্তু সেই সঙ্গেই জানিয়েছিলেন, মায়ের বিয়ের সিদ্ধান্তে খুবই খুশি তিনি।
ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় রিংকু দেবী জানান, 'বেশ কয়েক বছর আগে ওর নিউরোর কিছু সমস্যা ছিল। ওষুধ খেতে হত। ওষুধগুলো মনে হয় কয়েকদিন ঠিক মত খাচ্ছিল না। মুখে বলত না। মনে মনে একটা স্বপ্ন ছিল আমার সাথে থাকবে। আমি বলেছিলাম কটা দিন অপেক্ষা কর। তোকে খুব তাড়াতাড়ি নিয়ে আসব। দু তিন দিন ধরে আমারও ঘুম হয়নি। ছেলেটা খাওয়া দাওয়া করছিল না। আমিও খুব টেনশনে ছিলাম। আমি এখানে রান্না বান্না করছি। ছেলেটা ঠিকমত খাচ্ছে না। কখনও রান্নার লোক এসে ঘুরে চলে যাচ্ছে কখনও বন্ধুর ফ্ল্যাটে থাকছে। আমার বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর ও একটু আপসেট থাকত। মন খারাপ হলেও সেটা আমাকে বুঝতে দেয়নি'।