/indian-express-bangla/media/media_files/2025/02/06/rySp0BoxJ8dCSnKtBXVe.jpg)
প্রীতিশা জানা।
Pritisha Jana of Mahishadal will go to school after recovering from cancer: ক্যান্সার জয় করে এবার পড়াশোনার মূল স্রোতে ফিরতে চায় ছাত্রী প্রীতিশা জানা। মহিষাদলের গয়েশ্বরী গার্লস হাই স্কুলের প্রাথমিক বিভাগে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকে সে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়। দেড় বছর লড়াই করে বর্তমানে সুস্থ প্রীতিশা মহিষাদলের গয়েশ্বরী গার্লস হাই স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়তে চায়। স্কুল কর্তৃপক্ষ তার পড়াশোনার সব ব্যবস্থা করেছে। ক্যান্সারের চিকিৎসায় দেড় বছর সময় কেটে গিয়েছে। লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে একটানা চিকিৎসায় আপাতত সুস্থ এই মেধাবী ছাত্রী। তার হিপ জয়েন্টের বাম দিকে টিউমার ধরা পড়েছিল। তা থেকেই হাড়ে পচন ধরতে থাকে। চিকিৎসকরা পরীক্ষার পর জানিয়েছিলেন তার হাড় ক্যান্সার হয়েছে।
একথা জেনে প্রীতিশার পরিবারের মাথায় বাজ পড়ার মতো অবস্থা তৈরি হয়। তবে প্রীতিশার চিকিৎসার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তার স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শুরু করে ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক এবং শুভানুধ্যায়ীরা। মা গৃহবধূ। প্রীতিশার বাবা কিংকর জানা পেশায় রঙের মিস্ত্রি। বাবার উপার্জনেও কোনও রকমে সংসার চলে। এখন আপাতত প্রীতিশাকে সুস্থ করে বাড়ি ফিরিয়ে এনেছেন জানা দম্পতি। মেয়ের ইচ্ছে আবার স্কুলে যাবে। সেকথা চাউর হওয়া মাত্র স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষক-শিক্ষিকা অভিভাবক শুভানুধ্যায়ী সকলেই খুশি।
প্রীতিশার মা প্রতিমা জানা বলেন, "মেয়ে এখন সুস্থ। ও পড়তে চায়। আমরা তাকে স্কুলে পাঠাব।" ছোট্ট প্রীতিশার হিপ জয়েন্টের হাড় কেটে কৃত্রিম হাড় বসানো হয়েছে। সেই সঙ্গে দেওয়া হয়েছে ১৭টি কেমো। আপাতত সুস্থ বলেই সে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে এককাট্টা । স্কুলের স্যার সুমন সাঁতরা তার চিকিৎসার জন্য বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন। এবার পড়াশোনাতেও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ওই শিক্ষক। তিনি বলেন, "আমাদের ছাত্রী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। এটা আমাদের কাছে পরম আনন্দের বিষয়। জানি ওর আরও চিকিৎসা চলবে। আমরা যতটা পারি সহযোগিতা করব। সেই সঙ্গে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা ওর পাশে রয়েছি।"
ছোট্ট প্রীতিশা জানিয়ে দিয়েছে, সে বড় হয়ে একজন চিকিৎসক হতে চায়। আগামী দিনে তার সেই স্বপ্ন পূরণের অপেক্ষায় অনেকেই রয়েছেন।
সহপাঠীরাও প্রীতিশাকে আবার তাদের সাথে পাওয়ার খুশিতে মেতে উঠেছে। মহিষাদলের গয়েশ্বরী গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা পারমিতা গিরি বাগ বলেন, "প্রীতিশা আমাদের প্রাথমিক বিভাগে পড়াশোনা করত। তার অসুস্থতার খবর পেয়ে আমরা পরিবারের পাশি দাঁড়াই। বর্তমানে সে সুস্থ হয়ে উঠেছে। আবার স্কুলে পড়াশোনা করবে শুনে খুব ভালো লাগছে।"