/indian-express-bangla/media/media_files/2025/07/05/police-2025-07-05-11-05-24.jpg)
Purba Bardhaman News: গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অভিযুক্তদের।
রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর উপর হামলা ও তাঁর গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেফতার ৫। বৃহস্পতিবার রাতভর অভিযান চালিয়ে পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর থানার পুলিশ ওই ৫ জনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম মহিউদ্দিন বড়া, শেখ আজহার উদ্দিন, সাদ্দাম মণ্ডল, সাহেব শেখ ও বংশী বয়রা। এরা মন্তেশ্বরের কুলুট, দিগনগর, কুসুমগ্রাম, মণ্ডলপাড়া এলাকার বাসিন্দা। সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ শুক্রবার ৫ ধৃতকে কাটোয়া মহকুমা আদালতে পেশ করে। বিচারক ধৃত মহিরুদ্দিন বড়া ও শেখ আজহার উদ্দিনকে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজত এবং বাকিদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বৃহস্পতিবার নিজের বিধানসভা এলাকা মন্তেশ্বরে আক্রান্ত হন। মন্ত্রীকে ঝাঁটা, জুতো ও কালো পতাকা দেখানোর পাশাপাশি তাঁর গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। এই ঘটনার পর মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী অভিযোগ করেন, পুলিশের সামনেই তাঁর উপর হামলা হয়েছে। তাঁকে খুনের ছক কষা হয়েছিল বলে অভিযোগ তাঁর।
গোটা ঘটনার দায় মন্তেশ্বরের দোর্দন্ডপ্রতাপ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা মন্তেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আহম্মদ হোসেন শেখের উপরেই চাপিয়ে ছিলেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। যদিও মন্ত্রীর উপর হামলার ঘটনা নিয়ে পুলিশ অ্যাকশনে নেমে ৫ জনকে গ্রেফতার করলেও মূল অভিযুক্ত আহম্মদ হোসেন শেখ এখনও বহাল তবিয়তেই আছেন।
আরও পড়ুন- West Bengal live news Updates:পাখির চোখ '২৬, BJP-তে এবার বড়সড় দায়িত্ব সুকান্ত মজুমদারকে
এদিকে, নিজের বিধানসভা এলাকায় আক্রন্ত হওয়ার পর ক্ষুব্ধ মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী ছুটে যান জেলার পুলিশ সুপার সায়ক দাসের কাছে। পুলিশ সুপারের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী জানিয়েছিলেন, এত বড় ঘটনার পর দল যদি কোনও ব্যবস্থা না নেয়, তবে তিনি দল ছেড়ে দেবেন। তাঁর উপর হামলার জন্য তিনি মন্তেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আহম্মদ হোসেনকে দায়ী করেন। পরিকল্পনা করে তাঁক খুনের চক্রান্ত করা হয়েছিল বলেও সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন- Bomb explosion :ভয়াবহ বিস্ফোরণে ভেঙে পড়ল বাড়ি, চ্ছিন্নভিন্ন হয়ে বীভৎস মৃত্যু, জখম বেশ কয়েকজন
তবে গতকাল অবশ্য সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী আর দল ছাড়ার হুঁশিয়ারি না দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উপর আস্থা রাখার কথা শুনিয়েছেন। এসবের মধ্যেই শুক্রবার জেলা তৃণমূলের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী আক্রান্ত হয়েছেন কিনা আমি জানি না। এমনটা হয়ে থাকলে দলের উচ্চ নেতৃত্ব ব্যবস্থা নেবে।"