New Update
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/04/09/hXqoqzPwO4bo8hy5UEvH.jpg)
Purba Bardhaman News: অনবদ্য কৃতিত্ব দুই স্কুল পড়ুয়ার।
Purba Bardhaman News: অনবদ্য কৃতিত্ব দুই স্কুল পড়ুয়ার।
Purba Bardhaman News: ছোট বয়সেই তৈরি হয়েছিল মহাকাশ নিয়ে জানার আগ্রহ। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা 'ইসরো' (ISRO) সবুজ সংকেত দেওয়ায় পূর্ব বর্ধমানের দুই স্কুল পড়ুয়া কুশারী চক্রবর্তী ও সপ্তক ঘোষের সেই আকাঙ্খা এবার পূরণ হতে চলেছে। তাঁরা 'ইসরো'-র বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। স্বভাবতই এই খবরে খুশি দুই পড়ুয়ার পরিবার ও তাদের স্কুল কর্তৃপক্ষ।
'ইসরো'-য় প্রশিক্ষণ লাভের সুযোগ পাওয়া ছাত্রী কুশারী চক্রবর্তীর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে। আর ছাত্র সপ্তক ঘোষের বাড়ি হুগলির বৈচিতে। দু’জনেই মেমারির ক্রিস্টাল মডেল স্কুলের দশম শ্রেণির পড়ুয়া। তাঁরা আগামী ১৮ 'ইসরো'-র সেন্টারে পৌঁছোবে। সেখানকার শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারে তাঁরা ৩১ মে পর্যন্ত প্রশিক্ষণ নেবে।
স্কুল কর্তৃপক্ষের কথায় জানা গিয়েছে, খুব সহজেই যে কুশারী ও সপ্তক 'ইসরো'-র প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দেওয়ার সুযোগ পেয়ে গিয়েছে এমন নয়। 'ইসরো'-র শিবিরে যোগ দেওয়ার সুযোগ পেতে কুশারী ও সপ্তককে অনলাইনে বিভিন্ন কঠিন পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। সারা ভারত থেকে দুই লক্ষাধিক ছাত্র ছাত্রী পরীক্ষা দিয়েছিল। ৭ এপ্রিল ফল প্রকাশ হলে দেখা যায় দুই লক্ষেরও বেশি পরীক্ষার্থীর মধ্যে সফল হয়েছে মাত্র ০.১৭৫ শতাংশ পরীক্ষার্থী। সফলদের মধ্যে রয়েছে
মেমারি ক্রিস্টাল মডেল স্কুলের দুই পড়ুয়া কুশারী চক্রবর্তী ও সপ্তক ঘোষ রয়েছে।
অন্যদিকে, দুই পড়ুয়ার বাবা ও মায়ের কথায়, "কুশারী ও সপ্তক যখন খুব ছোট, তখনই ওদের মহাকাশ নিয়ে জানার আগ্রহ তৈরি হয়। ওঁদের মধ্যে মহাকাশ নিয়ে জানার আগ্রহ তৈরি হয়। তখন থেকেই ওঁরা মহাকাশ বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। সেই মতো পড়াশোনা তাঁরা চালিয়ে যায়। অবশেষে দুই পড়ুয়া পেয়েছে ইসরোর প্রশিক্ষণ শিবিরে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ।
স্কুলের প্রিন্সিপাল অরুনকান্তি নন্দী এই প্রসঙ্গে বলেন, "ছাত্রছাত্রীদের প্রতিভা খুঁজে বের করা ও তাদের উদ্দীপিত করার প্রচেষ্টা আমরা চালিয়ে যাচ্ছি। তার ফল আমরা পেলাম। এর আগেও আমাদের স্কুলের এক ছাত্র ’ইসরোর’ প্রশিক্ষণ এই শিবিরে অংশ নেওয়ার সূযোগ পেয়েছিল। এবার সুযোগ পেল আমাদের স্কুলের একজন ছাত্র ও একজন ছাত্রী। দুই পড়ুয়ার এই সফলতা সর্বভারতীয় স্তরে আমাদের স্কুলকে গর্বিত করেছে।"