Odisha girl dies AIIMS: মর্মান্তিক মৃত্যু! হাজার চেষ্টা করেও প্রাণরক্ষা হল না। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল নাবালিকা।
অবশেষে মৃত্যু হল ওড়িশার পুরী জেলার বালাঙ্গা এলাকায় দুষ্কৃতীদের আগুনে পুড়ে যাওয়া ১৫ বছরের কিশোরীর। দিল্লি এইমস-এ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর। শনিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে এই তথ্য জানান।
ঘটনা ঘটে ১৯ জুলাই সকালে, পুরী জেলার ভর্গবী নদীর তীরে। অভিযোগ, তিনজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি ওই কিশোরীর শরীরের দাহ্য পদার্থ ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। তাঁর শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। প্রথমে তাকে ভুবনেশ্বরের এইমস-এ ভর্তি করা হয়। পরে ২০ জুলাই বিমানে করে স্থানান্তর করা হয় দিল্লির এইমস-এ, যেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা দিনরাত চেষ্টা চালালেও শেষরক্ষা হয়নি।
ওড়িশার পুরী জেলায় এক নাবালিকাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনায় ছড়িয়েছে তুমুল চাঞ্চল্য। দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস (এইমস)-এ চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার মৃত্যু হয় ১৫ বছর বয়সি ওই কিশোরীর।
অভিযোগ, গত ১৯ জুলাই সকালে পুরীতে তিনজন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি মেয়েটিকে অপহরণ করে দাহ্য পদার্থ ঢেলে তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। বালঙ্গা থানায় দায়ের হওয়া এফআইআরে কিশোরীর মা জানিয়েছেন, ঘটনার সময় মেয়েটি এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করে বাড়ি ফিরছিল। সেই সময় তিন ব্যক্তি তাকে পথ আটকায়, অপহরণ করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়।
প্রথমে ওই কিশোরীকে কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে। পরে ভুবনেশ্বরের এইমস হয়ে বিমান পথে তাকে দিল্লির এইমসে স্থানান্তর করা হয়। শুক্রবার দিল্লি এইমসে এক ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তার বয়ান রেকর্ড করে ওড়িশা পুলিশ। এরই মাঝে শনিবার মৃত্যু হয় ওই নাবালিকার।
ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি এক্স- এ পোস্ট করে লেখেন, “কিশোরীর মৃত্যুর খবরে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। চিকিৎসক ও সরকারের সবরকম প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তার প্রাণ রক্ষা করা গেল না। ঈশ্বর যেন তার আত্মাকে শান্তি দেন এবং পরিবারকে এই কঠিন যন্ত্রণা সহ্য করার শক্তি দেন।” ঘটনার পর থেকেই রাজ্যজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।