Puri Shankaracharya: 'গঙ্গাসাগরকে জাতীয় মেলা ঘোষণা করা উচিত', পুরীর শঙ্করাচার্যের মন্তব্যের পরে পাল্টা বঙ্গ বিজেপির

Puri Shankaracharya on Gangasagar Mela: পুরীর শঙ্করাচার্য স্বামী নিশ্চলানন্দ সরস্বতী বলেছেন, গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় মেলার মর্যাদা দেওয়া উচিত। কিন্তু তাঁর মতে, এটা তখনই সম্ভব যখন বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসবে। সোমবার মকর সংক্রান্তির প্রাক্কালে মেলা পরিদর্শনে এসে শঙ্করাচার্য এ কথা বলেন।

মঙ্গলবার বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, “রাজ্য বিজেপিও চায় গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় মেলার মর্যাদা দেওয়া হোক, কিন্তু এক্ষেত্রে উদ্যোগ নিতে হবে রাজ্যকে। যদি রাজ্য সরকার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে যাওয়া এবং আক্রমণ করা বন্ধ করে এবং কেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করে, তবেই এটি সম্ভব। তবে পুরীর স্বামী নিশ্চলানন্দ সরস্বতী যা বলেছেন সে সম্পর্কে আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না কারণ তিনি একজন প্রবীণ ধর্মগুরু।”

এ প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন যে, শঙ্করাচার্যের কথাগুলি কেন্দ্রের দ্বিচারিতা সামনে এনে দিয়েছে।

“একদিকে, তাঁরা দাবি করে যে তাঁরা হিন্দু সনতানি ধর্মের সমর্থক, অন্যদিকে, সাগরে অনুষ্ঠিত প্রাচীনতম ধর্মীয় সমাবেশগুলির মধ্যে একটি গঙ্গাসাগর মেলাকে কেন্দ্রীয় সরকার ক্রমাগত দুরে ঠেলে দিচ্ছে এবং উপেক্ষা করছে। এতে আরও স্পষ্ট যে রাজনীতি এবং ধর্ম হল বিজেপি সরকারের মনগড়া ককটেল এবং এইভাবে এটি জাতির জন্য বিপজ্জনক। একজন ধর্মীয় নেতা সর্বদা সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের বিষয়ে উদ্বিগ্ন এবং সেই উদ্বেগ থেকেই তিনি বলেছেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই এলাকার সাধারণ মানুষের সমস্যা এড়িয়ে যেতে পারেন না, যা তিনি ক্ষমতায় আসার পর থেকে ক্রমাগত করে চলেছেন।” জয়প্রকাশ আরও বলেছেন।

আরও পড়ুন সাগরতটে পুণ্যস্নানের পরেই দেখা মিলছে সাক্ষাৎ মা গঙ্গা, শিব, দুর্গা ও শ্রীকৃষ্ণের

শমীক ভট্টাচার্য আরও বলেছেন, "কালীঘাটের মা কালী তৃণমূল কংগ্রেসের ফাইল গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছেন, এই বলে যে, 'তোমাকে বাঁচানোর ক্ষমতা আমার নেই'। আমার মনে হয় না জগন্নাথেরও তাদের বাঁচানোর ক্ষমতা আছে।”

সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, “সেতু তৈরিতে দেরি হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কারণে। বাম আমলে, সেতুর জন্য প্রকল্প চূড়ান্ত ছিল, এবং সবকিছুই ঠিকঠাক ছিল... সেই সময়, উনি কেন্দ্রে ছিলেন এবং বলেছিলেন যে বন্দর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গ্রহণ করবে এবং রাজ্যের এক্ষেত্রে কিছু করার নেই।"

গত ৫ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, গঙ্গাসাগর মেলাকে সৎসন্তানের মতো দেখে কেন্দ্র। মেলাকে জাতীয় মেলা হিসাবে ঘোষণা না করা বা তীর্থযাত্রীদের জন্য একটি সেতু নির্মাণ না করার জন্যও কেন্দ্রকে আক্রমণ করেন তিনি।

আরও পড়ুন অটুট মনোবল! নাগা সাধুর আখড়া থেকে সরকারি অফিসার হওয়ার স্বপ্ন সন্ন্যাসিনীর

মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন যে, রাজ্য সরকার পশ্চিমবঙ্গের মূল ভূখণ্ডকে সাগরদ্বীপের সঙ্গে সংযুক্ত করতে মুড়িগঙ্গা নদীর ওপরে ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ গঙ্গাসাগর সেতু নির্মাণ করবে। কিন্তু সেতুর জন্য বারবার কেন্দ্রীয় সহায়তার অনুরোধ করা সত্ত্বেও মোদী সরকার কোনও কর্ণপাত করছে না বলে তাঁর অভিযোগ।