Rahul Sinha demands NIA probe against Firhad Hakim: "বাংলাদেশে যে আগুন জ্বলছে সেই আগুন ফিরহাদ হাকিম এই বাংলায় আনার চেষ্টা করছেন।" এমনই অভিযোগ এনে ফিরহাদ হাকিমের অপসারণ এবং তাঁর বিরুদ্ধে NIA তদন্তের দাবি তুললেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। বর্ধমান জেলা বিজেপি কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে রাহুল সিনহা এই দাবি করেছেন। একই সঙ্গে তিনি বলেন, "ফিরহাদ হাকিমকে কোনও উগ্রবাদী শক্তি ইন্ধন দিচ্ছে, সেটা জানতেই NIA তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।"
বাংলাদেশে হয়ে চলা ঘটনা প্রসঙ্গ সামনে এনে রাহুল সিনহা বলেন, "বালাদেশে অবাধ, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার পরিবেশ তৈরি করার ক্ষমতা ইউনুসের নেই। ইউনুস বলেছিলেন সংখ্যালঘুরা একজোট হয়ে থাকুন আমাদের সরকার আপনাদের পাশে আছে। কিন্তু ইউনুসই আজ উগ্রবাদী হামলা করাচ্ছে। যেখানে সরকারই হত্যাকারী, সরকার হিন্দু নিধন করাচ্ছে, সেখানে ভোটেরও কোনও মূল্য নেই। তদারকি সরকারের আজ চারমাস হয়ে গেল, নির্বাচন করে দেওয়া উচিত ছিল। আসলে ইউনুসের দ্বারা বাংলাদেশ পরিচালনা সম্ভব নয়। ইউনুসকে সরিয়ে এমন একজনকে দ্বায়িত্ব দেওয়া উচিত যিনি সমস্ত পথের মানুষকে সমান চোখে দেখে নির্বাচনে প্রচারে সকলকে সমান অধিকার দিয়ে নির্বাচন করলে বাংলাদেশে শক্তিশালী সরকার গঠন হবে।"
বাংলাদেশে বিজয় দিবস পালন নিয়ে তিনি বলেন, "ভারতের অবদান বাংলাদেশকে মানতেই হবে। কটা উগ্রপন্থী মুজিবর রহমানের মূর্তি ভাঙলেই মুজিবুর রহমানের অবদান শেষ হয়ে যাবে না। পশ্চিমবাংলায় নকশালরা নেতাজির মূর্তি, গান্ধীজির মূর্তি, স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি ভেঙেছিল। তবুও কি মুছতে পেরেছে বাংলা থেকে তাদের প্রতি শ্রদ্ধাভক্তি? নকশালরা যেমন উগ্রপন্থী ছিল সেরকম বাংলাদেশে একদল উগ্রপন্থী, দেশবিরোধী শক্তি পাকিস্তানের ইন্ধনে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নষ্ট করতে চায়। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি নাগরিক চায় ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক। আপনি গণভোট নিন, কারা ভারতের সাথে থাকতে চায় আর কারা পাকিস্তানের সাথে থাকতে চায়। একদল উগ্রপন্থী জোর করে ভারত বিরোধিতা চাপিয়ে দেবে এটা বাংলাদেশের মানুষ মেনে নেবে না। বাংলাদেশের মানুষের ভারতের উপর যথেষ্ট আস্থাবান।"
আরও পড়ুন- West Bengal News Live: মোবাইল নিয়ে ঢোকা যাবে না তারাপীঠ মন্দিরে, মঙ্গলবার থেকে নয়া নিয়ম চালু
অন্যদিকে, আরজি কর কাণ্ড নিয়ে CBI-এর ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। তিনি বলেন, “৯০ দিন হয়ে যাওয়ার পরেও সিবিআই যদি চার্জশিট না দিতে পারে তাহলে দু’জনকে গ্রেফতার করেছিল কেন? সিবিআইয়ের উপর মানুষের যে বিশ্বাস আছে সেই বিশ্বাসকে সিবিআই নিজেরা নষ্ট করেছে। এতে সারা বাংলার মানুষ হতাশ হয়েছে। সিবিআইয়ের কর্মক্ষমতার উপর প্রশ্নচিহ্ন এসেছে, মানুষের বিশ্বাস ভঙ্গ হয়েছে।"