/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/05/cats-2025-10-05-10-53-03.jpg)
রাজ্য সরকারের উদ্যোগে আয়োজিত পুজো কার্নিভালক বয়কট দাপুটে তৃণমূল বিধায়কের
রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী কি আবার বিজেপিতে? রাজ্য সরকারের উদ্যোগেই কলকাতা সহ জেলায় জেলায় পুজো কার্নিভাল। আর সেই পুজো কার্নিভালকে বয়কট খোদ তৃণমূল বিধায়কের। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা।
রায়গঞ্জের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী শনিবার সন্ধ্যায় দুর্গা পুজো কার্নিভাল থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি তার এই সিদ্ধান্তের কথা সোশ্যাল মিডিয়াতেও পোস্ট করেছেন। শহরের উন্নয়ন ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় ত্রুটির অভিযোগেই কার্নিভাল বয়কটের ডাক শাসক বিধায়কের।
আরও পড়ুন- ভোটে জিততে অধীরেই আস্থা রাখল দল, দেওয়া হল গুরুদায়িত্ব
তৃণমূল কংগ্রেসের দাপুটে বিধায়ক সোশয়াল মিডিয়ায় এক পোস্টে লিখেছেন, "আপনাদের সকলের প্রতি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানিয়ে বলতে চাই, শহরের বর্তমান পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। রায়গঞ্জ পৌরসভা ও প্রশাসনের চরম অবহেলার কারণে শহরের পরিচ্ছন্নতা ও পরিকাঠামো উন্নয়ন সম্পূর্ণভাবে থমকে গেছে। জলাবদ্ধতা, নোংরা রাস্তাঘাট, অপর্যাপ্ত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দুরবস্থা আজ আমাদের সকলের চোখে পড়ছে। আমাদের সরকার নগর উন্নয়ন বিভাগ থেকে ৭ কোটি টাকা, উত্তর বঙ্গ উন্নয়ন বিভাগ থেকে ১০ কোটি দিয়েছে রায়গঞ্জে পৌরসভা এলাকার পরিকাঠামো ভাবে উন্নয়ন এর জন্য,কিন্তু রায়গঞ্জ পৌরসভা এবং প্রশাসন পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে, জনগণ ক্ষিপ্ত হয়ে আছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা উন্নয়নের পরিকাঠামো দিকে রায়গঞ্জ পৌরসভার উদাসীনতা ও নিম্নমানের পরিষেবা থেকে। এই অবস্থায় শহরের উন্নয়ন ও নাগরিক সুরক্ষাকে উপেক্ষা করে শুধুমাত্র উৎসবের নামে প্রদর্শনীতে সামিল হওয়া অনুচিত। তাই আমি কৃষ্ণ কল্যানী, রায়গঞ্জের বিধায়ক হিসেবে, এই বছরের পূজা কার্নিভালে নিজেকে বিরত রাখছি"।
পুরসভার প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস বিধায়কের আচরণের নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “সাধারণ যে কেউ হঠাৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন পোস্ট করতেই পারে, এটা একজন দায়িত্বশীল রাজনীতিবিদ ও বিধায়কের করা উচিত নয়। এটা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমি দলের কাছে এই বিষয়টি জানিয়েছি।” উত্তর দিনাজপুর জেলার তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, “আমার মতে, পাবলিকলি এমন মন্তব্য করা ঠিক নয়। যদি কোনও সমস্যা থাকত, তিনি আমাদের জানালে আমরা অভ্যন্তরীণভাবে সমাধান করতে পারতাম।”
বিজেপির জেলা সভাপতি নিমাই কবিরাজ বলেন, “তৃণমূল একে অপরকে দোষারোপ করছে, অথচ সাধারণ মানুষ খারাপ পরিষেবার কারণে ভুগছে। এটা তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের স্পষ্ট চিত্র"। উল্লেখ্য, ২০২১ বিধানসভা ভোটের আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে গিয়েছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। রায়গঞ্জ কেন্দ্রে বিজেপি-র টিকিট পেয়ে জিতেও যান তিনি। এরপরই দলীয় সাংসদের বিরুদ্ধেই সরব হন তিনি। আনেন ভোটে হারানোর ষড়যন্ত্রের তত্ত্বও। এরপরই সেই বছর অক্টোবরেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন রায়গঞ্জের বিধায়ক। এখন ফের দলের একাংশের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিরোধীতায় দল বদলের গুঞ্জন তীব্র হয়েছে।