New Update
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/04/01/I4vGZtnboToJeY3NWms6.jpg)
হিন্দুত্ব ইস্যুতে চড়ছে পারদ, রামনবমীতে ২ হাজারের বেশি মিছিল, রাজ্য জুড়ে মেগা প্ল্যানিং পুলিশ-প্রশাসনের
হিন্দুত্ব ইস্যুতে চড়ছে পারদ, রামনবমীতে ২ হাজারের বেশি মিছিল, রাজ্য জুড়ে মেগা প্ল্যানিং পুলিশ-প্রশাসনের
Ram Navmi in West Bengal: রাম নবমীতে বঙ্গে ২০০০-এরও বেশি মিছিল! সতর্ক প্রশাসন, নিলেন বড় পদক্ষেপ। ৬ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া সপ্তাহব্যাপী রাম নবমী উদযাপনের জন্য রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) এর মতো হিন্দু সংগঠনগুলি রাজ্যের সমস্ত ব্লকে শোভাযাত্রা বের করার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। এই সময়ের মধ্যে, ৩ কোটিরও বেশি হিন্দুকে একত্রিত করার লক্ষ্যও নির্ধারণ করা হয়েছে। বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতারা দাবি করেন, এই ধরনের মিছিল হবে "বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর হামলার ঘটনা" এবং টিএমসির "তুষ্টিকরণের রাজনীতির" বিরুদ্ধে প্রতীকী প্রতিবাদ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ শাখার সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, "বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর আক্রমণ সীমান্তের এপারে মানুষের চোখ খুলে দেবে। যদি আমরা এখনই এর প্রতিরোধ না করি, তাহলে তৃণমূলের তোষণের রাজনীতির কারণে বাংলাতেও হিন্দুদের সঙ্গে একই ধরণের ঘটনা ঘটতে পারে"। তিনি আরও অভিযোগ করেন, "বঙ্গের হিন্দুরা ইতিমধ্যেই তৃণমূল সমর্থিত জিহাদিদের দ্বারা একই ধরণের আক্রমণের মুখোমুখি হচ্ছেন।" এই বছরের রাম নবমী উদযাপন হবে এই ধরনের নৃশংসতার 'প্রতিক্রিয়া'। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বিজেপির মেরুকরণের প্রচেষ্টার সমালোচনা করে দাবি করেছেন, "বিজেপি ইচ্ছাকৃতভাবে পশ্চিমবঙ্গের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য ধর্মকে ব্যবহার করছে। বিজেপি বাংলার জনগণকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছেন"।
৬ এপ্রিল রাম নবমী। রাজ্য জুড়ে ২০০০ -এর বেশি মিছিল। হবে বেশি সমাবেশের পরিকল্পনা করা হয়েছে। অনুষ্ঠান চলাকালীন যাতে কোন ধরণের সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা না ঘটে তার জন্য সতর্ক পুলিশ প্রশাসন। এ প্রসঙ্গে এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জাভেদ শামীম বলেন, "আগামী ১০ দিন গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জনগণকে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করছি। সাম্প্রদায়িক বিভেদ তৈরির লক্ষ্যে উস্কানি বা গুজবের শিকার কেউ হবেন না।" শনিবার হাওড়ায় সাম্প্রদায়িক হিংসার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার জানিয়েছেন, 'গোপন সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, কোনও মহল থেকে এমন কিছু করার পরিকল্পনা রয়েছে যাতে মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে এবং সাম্প্রদায়িক শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে। কিছু পোস্টার, প্ল্যাকার্ড বিভিন্ন জায়গায় লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে যার প্রভাবে বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক হিংসা, বিদ্বেষের বাতাবরণ তৈরি হতে পারে। ধর্মীয় যে ঐতিহ্য বাংলায় রয়েছে তা বিঘ্নিত হতে পারে। তবে সব কিছুই শক্ত হাতে মোকাবিলা করতে প্রস্তুত পুলিশ'।
রামনবমীর আগে ধর্ম নিয়ে চলছে তোলপাড়। ২৬ এর ভোটের আগে হিন্দুত্ব ইস্যুতে চড়ছে পারদ। 'বাংলায় দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে। হিন্দুদের জেগে ওঠার সময় এসেছে বলে উল্লেখ' রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। এদিকে হিন্দুদের উপর হামলার অভিযোগে আজই কাঁথিতে মিছিল শুভেন্দুর। হিন্দু এলাকায় তৃণমূলকে নিষিদ্ধ করার দাবি বিরোধী দলনেতার। শুভেন্দু বলেন, 'আজ যা মোথাবাড়ি, কাল তা আপনার বাড়ি, প্রতিরোধ করুন। জাগো হিন্দু, এই লড়াই অস্তিত্বরক্ষার লড়াই। তৃণমূল থাকলে রামায়ণ-মহাভারত নিয়ে কথা বলতে পারবেন না'। 'হিন্দু ধর্মকে নোংরা বলে আক্রমণ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়'। আরএসএসের সাধারণ সম্পাদক (দক্ষিণ বঙ্গ) জিষ্ণু বসু বলেন, যদি পুলিশ প্রশাসন সিদ্ধান্ত অস্ত্র নিয়ে মিছিলে অংশগ্রহণ করা যাবে না তাহলে এই নিয়ম মহরম এবং রাম নবমী উভয় শোভাযাত্রার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হওয়া উচিত। তিনি বলেন, আমরা সকল ধর্মের মানুষকে ভারতীয় হিসেবে বিবেচনা করি।