Malda News: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী গ্রামে ভুয়ো রেশন কার্ড তৈরি করে খাদ্য সামগ্রী লুঠের অভিযোগ মালদহের এক রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে। ২০১২ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত চার হাজারেরও বেশি ভুয়ো রেশন কার্ড তৈরি করে খাদ্য সামগ্রী লুঠের অভিযোগ কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লকের গোলাপগঞ্জ পঞ্চায়েতের বাবুর বোনা এলাকার রেশন ডিলার সৈফুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে। জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া।
কালিয়াচক তিন নম্বর ব্লকের গোলাপগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাবুরবনা গ্রাম।এই এলাকার রেশন ডিলার সৈফুদ্দিন আহমেদ।২০১২ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ভুয়ো রেশন কার্ড তৈরি করে ব্যাপক পরিমাণে খাদ্য সামগ্রী লুঠ করেছেন ওই রেশন ডিলার বলে অভিযোগ। সম্প্রতি বিষয়টি নজরে আসে এলাকার বাসিন্দাদের। খাদ্য দপ্তরের ওয়েবসাইটে গিয়ে তারা দেখতে পান প্রচুর ভুয়ো নাম রয়েছে ওই এলাকায় রেশন প্রাপকদের তালিকায়। যাদের বাড়িতে চারজন সদস্য রয়েছে তাদের বাড়িতে আটজন সদস্যের নামে রেশন কার্ড করা হয়েছে। তবে এরকম একটি দুটি নয় চার হাজারেরও বেশি ভুয়ো রেশন কার্ড রয়েছে ওই ডিলারের কাছে বলে অভিযোগ।
এই ব্যাপক দুর্নীতির তদন্তের দাবিতে মালদহ জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন গ্রামবাসীদের একাংশ। এই ব্যাপক দুর্নীতির বিষয়টি সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। যদিও এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন রেশন ডিলারের ছেলে সামিম হাসান। এই ঘটনায় জেলা খাদ্য সরবরাহ দপ্তরের কন্ট্রোলার শাশ্বত সুন্দর দাসকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া।
আরও পড়ুন- Malda News: গাছ চুরির প্রতিবাদ করায় মারাত্মক 'প্রতিশোধ'! 'অপূরণীয়' ক্ষতিতে দিশেহারা ১২-১৫ কৃষক
আরও পড়ুন- Partha Chatterjee: জামিন আবেদনের শুনানি শেষ, নতুন বছরের আগেই বিরাট 'সুখবর' পেতে পারেন পার্থ
এদিকে দক্ষিণ মালদহ জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, "সারা পশ্চিমবঙ্গে রেশন ডিলারদের সঙ্গে মিলিতভাবে খাদ্য দপ্তরের কিছু আধিকারিক, প্রশাসনের কিছু কর্তা মিলে এই দুর্নীতিটা করছে। এর সমস্তটাই রাজ্য সরকার জানে। তারপরেও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ আমরা দেখতে পাচ্ছি না।"
জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র আশীষ কুণ্ডু বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা সত্ত্বেও আমাদের সরকার সমস্ত মানুষকে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছে। মুখ্যমন্ত্রী এই জনহিতকর কাজের পরেও রেশন ডিলারদের কেউ অন্যায় আচরণ করলে কঠোর শাস্তির দাবি আমরা করি। অভিযোগ জানানো উচিত। যাতে সঠিক তদন্ত করে আইননানুক ব্যবস্থা নেওয়া যায়। তবে বিজেপির অভিযোগের কোনও গুরুত্ব নেই। বিজেপি একটা কমপ্লেন পার্টি।"