মমতা মন্ত্রিসভার সদস্য অখিল গিরির রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে মন্তব্যে তোলপাড় বাংলার রাজনীতি। এর আগে ২৭ অক্টোবরও তিনি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন বলেও অভিযোগ। বিজেপি এই মন্ত্রীকে বরখাস্ত করার দাবি জানিয়েছে। এদিকে রাজ্যের অনগ্রসর কল্যান ও আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী বুলুচিক বরাইক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, 'দেশের রাষ্ট্রপতিকে সম্মান, শ্রদ্ধা জানানোই আমাদের কর্তব্য। বাগডোগরায় যখন রাষ্ট্রপতি এসেছিলেন তখন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমি ছাড়া রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা ও শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব হাজির ছিলেন তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য। এটাই তো রীতি।'
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর খোঁচা দেওয়া মন্তব্যের প্রেক্ষিতে অখিল গিরি রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন। এটাকে একেবারে অসার যুক্তি বলেই মনে করে রাজনৈতিক মহল। এবিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি বুলুচিক বরাইক। অখিল গিরির মন্তব্য প্রসঙ্গে বুলুচিক বরাইক বলেন, 'এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে চাই না। কিন্তু আমার মতামত হল আমাদের দেশ ভারতবর্ষের রাষ্ট্রপতি তাঁকে আমি সম্মান করি। তিনি যে কোনও জনজাতির হোক না কেন। সে আদিবাসি, নেপালি, বাঙালি যে কোন জাতির হোক তিনি আমাদের দেশের রাষ্ট্রপতি। এটাই মূল কথা।'
আরও পড়ুন- অখিলে চটে লাল জাতীয় মহিলা কমিশন! তৃণমূলের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে নজিরবিহীন পদক্ষেপ
সম্প্রতি এরাজ্যে এসেছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমেছিলেন রাষ্ট্রপতি। তখন সেখানে স্বাগত জানিয়েছিলেন বুরুলিক বরাইকসহ আরেক মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা ও শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। বুলুচিক বরাইক বলেন, 'আমাদের তো কর্তব্যই তাঁকে সম্মান দেওয়া। রাষ্ট্রপতিকে আমরা শ্রদ্ধা করি। তাঁকে অন্য ভাবে দেখব কেন? এবার বাগডোগরায় রাষ্ট্রপতি এসেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশও দিয়েছিলেন তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য। আদিবাসি মন্ত্রী হিসাবে হাজির ছিলাম। ফিরে যাওয়ার দিনও সঙ্গে ছিলাম। আমরা তাঁকে সম্মান করি। আমাদের আদিবাসি সমাজ থেকে তাঁকে সম্মান জানালাম, প্রণাম জানালাম। আমরা রাষ্ট্রপতিকে যথাযথ সম্মান দিয়েছি। বীরবাহা হাঁসদা, গৌতম দেবও ছিলেন।' এই মন্ত্রীর স্পষ্ট কথা, 'সম্মান দিলেই সম্মান পাওয়া যায়।'
রাজ্যের খোদ পিছিয়ে পড়া ও আদিবাসী দফতরের মন্ত্রী দেশের রাষ্ট্রপতিকে শ্রদ্ধা ও সম্মান জানিয়েছেন। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, শুধু কুরুচিকর মন্তব্য নয়, তোমাদের রাষ্ট্রপতি বলেও উল্লেখ করেছেন তৃণমূলের প্রবীণ নেতা অখিল গিরি। এদিকে এই রাজ্যের মন্ত্রীরাই রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে ফুলের তোড়া নিয়ে হাজির হচ্ছেন। একই রাজ্যের দুই মন্ত্রীর দুই ভিন্ন রূপ।
অখিল বচন: রাজ্যের আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে কি বললেন?
রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে মমতা মন্ত্রিসভার সদস্য অখিল গিরির মন্তব্যে তোলপাড় বাংলার রাজনীতি।
Follow Us
মমতা মন্ত্রিসভার সদস্য অখিল গিরির রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে মন্তব্যে তোলপাড় বাংলার রাজনীতি। এর আগে ২৭ অক্টোবরও তিনি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন বলেও অভিযোগ। বিজেপি এই মন্ত্রীকে বরখাস্ত করার দাবি জানিয়েছে। এদিকে রাজ্যের অনগ্রসর কল্যান ও আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী বুলুচিক বরাইক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, 'দেশের রাষ্ট্রপতিকে সম্মান, শ্রদ্ধা জানানোই আমাদের কর্তব্য। বাগডোগরায় যখন রাষ্ট্রপতি এসেছিলেন তখন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমি ছাড়া রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা ও শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব হাজির ছিলেন তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য। এটাই তো রীতি।'
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর খোঁচা দেওয়া মন্তব্যের প্রেক্ষিতে অখিল গিরি রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন। এটাকে একেবারে অসার যুক্তি বলেই মনে করে রাজনৈতিক মহল। এবিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি বুলুচিক বরাইক। অখিল গিরির মন্তব্য প্রসঙ্গে বুলুচিক বরাইক বলেন, 'এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে চাই না। কিন্তু আমার মতামত হল আমাদের দেশ ভারতবর্ষের রাষ্ট্রপতি তাঁকে আমি সম্মান করি। তিনি যে কোনও জনজাতির হোক না কেন। সে আদিবাসি, নেপালি, বাঙালি যে কোন জাতির হোক তিনি আমাদের দেশের রাষ্ট্রপতি। এটাই মূল কথা।'
আরও পড়ুন- অখিলে চটে লাল জাতীয় মহিলা কমিশন! তৃণমূলের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে নজিরবিহীন পদক্ষেপ
সম্প্রতি এরাজ্যে এসেছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমেছিলেন রাষ্ট্রপতি। তখন সেখানে স্বাগত জানিয়েছিলেন বুরুলিক বরাইকসহ আরেক মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা ও শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। বুলুচিক বরাইক বলেন, 'আমাদের তো কর্তব্যই তাঁকে সম্মান দেওয়া। রাষ্ট্রপতিকে আমরা শ্রদ্ধা করি। তাঁকে অন্য ভাবে দেখব কেন? এবার বাগডোগরায় রাষ্ট্রপতি এসেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশও দিয়েছিলেন তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য। আদিবাসি মন্ত্রী হিসাবে হাজির ছিলাম। ফিরে যাওয়ার দিনও সঙ্গে ছিলাম। আমরা তাঁকে সম্মান করি। আমাদের আদিবাসি সমাজ থেকে তাঁকে সম্মান জানালাম, প্রণাম জানালাম। আমরা রাষ্ট্রপতিকে যথাযথ সম্মান দিয়েছি। বীরবাহা হাঁসদা, গৌতম দেবও ছিলেন।' এই মন্ত্রীর স্পষ্ট কথা, 'সম্মান দিলেই সম্মান পাওয়া যায়।'
রাজ্যের খোদ পিছিয়ে পড়া ও আদিবাসী দফতরের মন্ত্রী দেশের রাষ্ট্রপতিকে শ্রদ্ধা ও সম্মান জানিয়েছেন। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, শুধু কুরুচিকর মন্তব্য নয়, তোমাদের রাষ্ট্রপতি বলেও উল্লেখ করেছেন তৃণমূলের প্রবীণ নেতা অখিল গিরি। এদিকে এই রাজ্যের মন্ত্রীরাই রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে ফুলের তোড়া নিয়ে হাজির হচ্ছেন। একই রাজ্যের দুই মন্ত্রীর দুই ভিন্ন রূপ।