সরকারি কর্মীদের দোল ও হোলিতে দু'দিন ছুটি। এবছর ১৪ মার্চ শুক্রবার দোল, তার পরের দিন অর্থাৎ ১৫ মার্চ শনিবার হোলি (Holi)। তার পরের দিন ১৬ মার্চ রবিবার এমনিতেই ছুটির দিন। ফলে টানা তিনদিনের ছুটি। সেই ছুটির মজা নিতে ভ্রমণপিপাসুরা ইতিমধ্যেই হোটেল বুকিং সেরে রাখছেন। সপ্তাহান্তের এই তিন দিন রাজ্যের সমুদ্রনগরী দিঘায় পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়বে বলে আশাবাদী ব্যবসায়ীরা।
প্রতিবছর দোলে দিঘা, তাজপুর, মন্দারমণি এলাকার প্রায় সমস্ত হোটেল বুক হয়ে যায়। এরই মধ্যে ৬৫ শতাংশ হোটেল বুকিং হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন দিঘা শংকরপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চ্যাটার্জি। তিনি জানান, প্রতিবছর দোলে পর্যটকের সংখ্যা বাড়ে দিঘায়। এবছর পর্যটকদের কাছে বাড়তি পাওনা নব নির্মিত দিঘার জগন্নাথ মন্দির, দিঘার নেচার পার্ক সহ অন্যান্য আকর্ষণীয় স্থান।
আগামী ৩০ এপ্রিল দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath Temple) উদ্বোধন। তাই এখন থেকেই সেজে উঠছে সৈকতনগরী। দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের পরিবেশ কাছ থেকে দেখার জন্য অনেকেই দোলের সাথে এই উপরি পাওয়না হাত ছাড়া করতে চাইছেন না। তাই আগে থেকে হোটেল বুকিং সেরে রাখছেন পর্যটকেরা।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live: 'বাংলাদেশে অনবরত লাঞ্ছিত মেয়েরা', ইউনূসকে ফের 'সুদখোর', 'জঙ্গিনেতা' বলে তোপ হাসিনার
তবে দোলে দিঘা, তাজপুর, মন্দারমণি সহ দিঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ অধীনস্থ পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে যাতে মদ্যপদের উৎপাত না বাড়ে সেব্যাপারে প্রশাসন সতর্ক। পর্ষদের পক্ষ থেকে বিশেষ নজদারি ও প্রচারের ব্যবস্থা থাকছে বলে জানান দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের কার্যনির্বাহী আধিকারিক অপূর্বকুমার বিশ্বাস। তিনি বলেন, "দোলে টানা ছুটি। মত্ত অবস্থায় দিঘার সমুদ্রে নামা রুখতে নজদারি থাকবে। দিঘা,তাজপুর,শংকরপুর মন্দারমণি সহ সমস্ত পর্যটন এলাকায় নজরদারি রাখা হবে। মত্ত অবস্থায় সমুদ্রে নামলে বা সমুদ্রপাড়ে মাতলামি করলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।"
আরও পড়ুন- digital transactions: বাংলার মুকুটে এক নয়া পালক! দেশের তাবড় রাজ্যকে টেক্কা দিয়ে 'সেরার সেরা' এরাজ্য
অন্যদিকে, দিঘাকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে দিঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। হোটেলের সামনে যেমন নোংরা ফেলার ডাস্টবিন রাখা হয়েছে, তেমনই হোটেলে-হোটেলে গিয়ে এলাকা পরিস্কার রাখার বার্তাও দেওয়া হচ্ছে। শীত বিদায় নিয়েছে। গরমের মরশুম শুরু হতেই দিঘায় ভিড় বাড়তে শুরু করেছে।