RG Kar Case: আরজি কর কাণ্ডে ফের ন্যায়বিচার চেয়ে পথে নামছে নির্যাতিতার পরিবার, ৯ আগস্ট 'নবান্ন অভিযান'-এর ডাক।
মেয়ের মৃত্যুর বিচার চেয়ে কেটে গিয়েছে একটা বছর। জোটেনি ন্যায় বিচার। আগামী ৯ অগাস্ট আরজি করের নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর বর্ষপূর্তি। ওই দিন নিগৃহীতা ও নিহত ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে ‘নবান্ন অভিযান’-এ অংশগ্রহণের জন্য তৃণমূল ছাড়া সব রাজনৈতিক দলকে আহ্বান জানানো হয়েছে। ঠিক এক বছর আগে ৯ অগাস্ট নিজের কর্মস্থলেই ধর্ষণের পর খুন হন ওই চিকিৎসক তরুণী। নিহত ছাত্রীর পরিবার জানিয়েছে, তাঁরা কংগ্রেস, SUCI , সিপিএম এবং বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করছেন, যাতে সবাই একত্রিত হয়ে এই লড়াইয়ে শামিল হন।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ডাকে আয়োজিত এই মিছিলে কোনও দলীয় পতাকা থাকবে না, এবং একমাত্র স্লোগান হবে— “আমরা ন্যায় চাই”। শুভেন্দু জানান, “এই মিছিল শুধুই ন্যায়বিচারের দাবি নিয়ে। আমরা চাই অপরাধের পিছনে থাকা প্রকৃত ষড়যন্ত্র উৎঘাটিত হোক এবং সব দোষীদের কড়া শাস্তি হোক।”
নির্যাতিতা তরুণীর বাবা জানিয়েছেন, “তৃণমূলকে আমন্ত্রণ জানানো হবে না"। তিনি আরও বলেন, “আমরা SUCI, CPM, কংগ্রেস, বিজেপি— সকলকে ডেকেছি, কিন্তু তৃণমূলকে নয়। কারণ, তৃণমূল নেতা ও প্রশাসন মেয়ের মৃত্যু তদন্ত ধামাচাপা দিতে চেয়েছিল। এমনকি দ্রুত দেহ সৎকার করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল।”
৯ অগাস্ট নবান্ন অভিযান প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলেন, " আমরা মনে করি অভয়ার মৃত্যু একটি প্রাতিষ্ঠানিক খুন। পরিকল্পিতভাবে সকল তথ্য প্রমাণ লোপাট করা হয়েছে। প্লেস অফ অকারেন্সকে হত্যা করা হয়েছে। বায়োলজিক্যাল এভিডেন্সকে নষ্ট করা হয়েছে। সূর্যাস্তের পর দেহ ময়নাতদন্ত হয়েছে। পানিহাটি শ্মশান ঘাটে দুটি দেহকে সরিয়ে দ্রুত সৎকার করা হয়েছে। গতকাল অভয়ার বাবা মায়ের সঙ্গে আমার দীর্ঘ সময় কথা হয়েছে। তারা তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে অসন্তুষ্ট, হতাশ। আমাদের তরফে সব রকমের সহযোগিতা করা হবে। মানুষ এর বিচার চাইছে। নবান্ন অভিযানে আমাদের দলের নেতা-কর্মীরা থাকবে। মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করবে। আমরা খুশি হব রাজ্যবাসী যদি সর্বাত্মক ভাবে আন্দোলনে সামিল হয়"।
তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ এপ্রসঙ্গে বলেন, “আমরা আরজি কর কাণ্ডে নিহত ছাত্রীর পরিবারের প্রতি সহানুভূতিশীল। তবে তাঁদের বক্তব্য দুঃখজনক এবং বিভিন্ন মহলের প্ররোচনায় প্রভাবিত হচ্ছেন নিহতের পরিবার।” তিনি আরও বলেন, “CBI মামলাটি হাতে নিয়ে পুলিশি তদন্তের বাইরে কিছু খুঁজে পায়নি। পুলিশ যাকে গ্রেফতার করেছিল সেই সঞ্জয়ই এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে এবং আদালত তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে।”