Dev on Mamata: "আপনাকে কুর্নিশ জানাই এই উদ্যোগের জন্য। আগেও আপনাকে দেখেছি আপনি কীভাবে মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন, আজ আবার দেখলাম নিজের লোকের পাশে গিয়ে দাড়ালেন। আশা করছি শান্তি, ন্যায় আর সম্মান, সব ফিরে আসুক"। এভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর আজকের জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনাস্থলে যাওয়াকে কুর্নিশ জানালেন সাংসদ অভিনেতা দেব। উল্লেখ্য আর্টিস্ট ফোরামের তরফে নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে যে গণঅবস্থানের আয়োজন করা হয় তাতে সামিল ছিলেন অভিনেতা দেব।
দিদি @MamataOfficial
— Dev (@idevadhikari) September 14, 2024
আপনাকে কুর্নিশ জানাই এই উদ্যোগের জন্য। আগেও আপনাকে দেখেছি আপনি কীভাবে মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন, আজ আবার দেখলাম নিজের লোকের পাশে গিয়ে দাড়ালেন।
আশা করছি শান্তি, ন্যায় আর সম্মান, সব ফিরে আসুক।
🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻 pic.twitter.com/OvTbSmWHDa
উল্লেখ্য, আজ শনিবার সকালে আচমকা জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনাস্থলে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জুনিয়র চিকিৎসকদের একটানা ধরনা আন্দোলন চলছে সল্টলেক স্বাস্থ্যভবনের সামনে। শনিবার সেই ধরনাস্থলেই পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছতেই ওঠে 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস' স্লোগান, ওঠে 'জাস্টিস ফর আরজি কর' স্লোগান। এদিন ফের একবার আন্দোলরত জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার অনুরোধ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে তাঁদের দাবিগুলি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ করারও আশ্বাস দিয়েছেন।
তিনি সেখানে জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশে বলেন, "নিরাপত্তা সংক্রান্ত নিষেধ থাকা সত্ত্বেও ছুটে এসেছি। কাল সারারাত ঝড় বৃষ্টি হয়েছে। আপনারা কষ্ট পেয়েছেন। আমিও রাতে ঘুমোতে পারিনি। আমারও কষ্ট হয়েছে। আমি নিজে ছাত্র আন্দোলন থেকে উঠে এসেছি। আমি যখন এসেছি কাজ করবই। অনেক কষ্ট পেয়েছেন আপনারা। আপনাদের দাবিগুলো নিয়ে আমি কথা বলব। আপনাদের দাবিগুলি আমি ভাবব, আমি চিন্তা করব। দোষী শাস্তি পাবেই। সিবিআইকে অনুরোধ করব যত তাড়াতাড়ি বিচার হোক। তিন মাসের মধ্যে তারা যেন ফাঁসির অর্ডার দেয়। আপনাদের প্ল্যাটফর্ম থেকেই সিবিআইকে অনুরোধ জানাব।"
মঞ্চ আলো করে সাংসদ-বিধায়কের মাঝে আরজি কর কাণ্ডের বিতর্কিত চিকিৎসক, চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল নেতৃত্ব
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, "আমাকে একটু সময় দিন। আমার উপর যদি ভরসা থাকে আমি কথা বলে সিদ্ধান্ত নেব। আমার পোস্টটা বড় কথা নয়। মানুষের পোস্টটাই বড় কথা। আপনারা এত কষ্ট করে ঝড় জলে রয়েছেন। আপনাদের পরিবারও কষ্টে রয়েছে। আপনারা কাজে যোগ দিন। আপনাদের প্রতি আমি কোনও অবিচার করব না। হাসপাতালের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ আমরা শুরু করে দিয়েছি। সব হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতিতে অধ্যক্ষদের চেয়ারম্যান করব। সদস্য হিসেবে, জুনিয়র-সিনিয়র ডাক্তার, নার্স ও একজন পাবলিক রিপ্রেসেন্টেটিভ থাকবেন এবং পুলিশও থাকবে। আরজি কর মেডিকেল কলেজ সহ সব মেডিকেল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দিলাম। আপনাদের বাদবাকি যা দাবি আছে যদি সত্যি কেউ দোষী হয় তারা শাস্তি পাবে। দোষীরা আমার বন্ধু নয়। আমি চাই তিলোত্তমা বিচার পাক।"
১৫ নয় ৩০ জনই! ফের শর্ত রাখলেন জুনিয়র ডাক্তাররা, আদৌ হবে আজকের বৈঠক?
মুখ্যমন্ত্রীর ধর্নাস্থলের আসার পরই জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে আলোচনার জন্য ই-মেল করা হল নবান্নে। সেই ইমেলে জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে জানানো হয়েছে, "আজ ৩৪ দিন অতিবাহিত। ৯ তারিখের ঘটনার পর থেকে শুরু হয় আমাদের আন্দোলন। মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চে এসে বার্তা দিয়েছে। নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে তার ভিত্তিতে আমরা সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাই। মুখ্যমন্ত্রীর আজকের পদক্ষেপ ইতিবাচক। যে কোন সময়, যে কোন মুহূর্তে, আজকে এক্ষুনি আমরা আলোচনায় বসতে চাই। ৫ দফা দাবি ও স্বচ্ছতার দাবি রেখেই আমরা আলোচনার মাধ্যমে অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠতে চাই। ইতিমধ্যে নবান্নে ইমেল করা হয়েছে। আলোচনার জন্য সময় চাওয়া হয়েছে। স্বচ্ছতার প্রশ্ন যেমন ছিল থাকছে। যে মুহূর্তে ডেট, প্লেস, টাইম জানিয়ে দেবে সরকার সেই মুহূর্তে আলোচনা। আলোচনা করতে হলে খোলা মনে আলোচনা হওয়া উচিত। আমরা ইমেলের উত্তরের অপেক্ষায় রয়েছি"।