RG Kar Protest: আগামীকাল আরজি কর কাণ্ডের এক মাস পূরণ হতে চলেছে। আর আগামীকালই সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর কাণ্ডের শুনানি! তার আগে প্রতিক্রিয়া জানালেন নির্যাতিতার মা-বাবা। তাঁরা বলেন, "আগামীকাল আরজি কর কাণ্ডের এক মাস। ভাল খবর পাব এটাই আশা, যন্ত্রণার মাঝেও দেশ বিদেশ থেকে মানুষ পাশে দাঁড়িয়েছেন এটাই আমাদের সব চেয়ে বড় ভরসা। এখন যা পরিস্থিতি বিচার আমরা হয়তো সহজে পাবো না ছিনিয়ে আনতে হবে। আমার মেয়ে চলে গেছে আমরা খুবই শোকাহত। অনেক কষ্ট করে ও এখানে এসেছিল। একটা রাত আমাদের পরিবারকে শেষ করে দিয়েছে। আরজি করের দুষ্কৃতিরা আমাদের মেয়েটাকে মেরে ফেলল। নির্যাতিতার মা বলেন, "বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি, ছোট থেকেই ওর ডাক্তার হওয়ার শখ। কত কষ্ট পেয়ে আমার মেয়ের প্রাণটা চলে গেছে, সরকার যেভাবে আমাদের অসহযোগিতা করেছে তা ভাবার বাইরে। সরকার একটু সহযোগিতা করলে আমরাও আশার আলো দেখতে পেতাম, প্রথম থেকেই প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হয়েছে। যতদিন মেয়ের বিচার না পাই এভাবে আমাদের পাশে থাকবেন"। নির্যাতিতার কাকিমা বলেন, "উই ওয়ান্ট জাস্টিস নয়, উই ডিমাণ্ড জাস্টিস"। আমেরিকা, বিট্রেন সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলছে প্রতিবাদের ঢেউ। মূলত প্রবাসী বাঙালি ও ভারতীয়রাও এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন।
আগামীকাল আরজি কর ধর্ষণ ও খুনের এক মাস। আগামীকালই সুপ্রিমে আরজি কর কাণ্ডের শুনানি। তার আগে আজ ফের রাত দখলের ডাক দেওয়া হয়েছে। প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে কোচবিহার থেকে কলকাতা। জেলায় জেলায় বিক্ষোভে সামিল হয়েছে একাধিক স্কুলের প্রাক্তনীরা। আজ ধর্মতলায় চিকিৎসকদের মিছিলে যোগ দেবেন নির্যাতিতার মা-বাবা। ৫২ টি স্কুলের প্রাক্তনীরা রাসবিহারী অ্যাভিনিউ থেকে মিছিল শুরু করেছেন বিচারের দাবিতে। পাশাপাশি রঙ তুলিতে অভিনব প্রতিবাদ কুমোরটুলিতে। যোগ দিয়েছেন শিল্পী সনাতন দিন্দা। প্রত্যেকের একটাই স্বর, জাস্টিস ফর আরজি কর।
আজ ফের রাত দখল
আগামীকালই সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর কাণ্ডে দ্বিতীয় শুনানি। আজ রবিবার ফের রাত জাগবে বাংলা। তার আগে সন্দীপ ঘনিষ্ঠ তিন চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাস, অভীক দে ও রঞ্জিত সাহার বিরুদ্ধে বউবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করল জুনিয়ার ডাক্তাররা। তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ভয় দেখানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ইমেলের মাধ্যমে তিন চিকিৎসকের নামে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
আগামীকালই সুপ্রিম শুনানি, তার আগে সন্দীপ ঘনিষ্ঠ তিন ডাক্তারের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের
আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় রীতিমতো ব্যাকফুটে রাজ্যের শাসকদল। ঠিক এই পরিস্থিতিতে এবার তৃণমূলের সঙ্গ ছাড়লেন বর্ষীয়ান সাংসদ। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে সংসদ পদ ছেড়ে দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, রাজনীতি থেকেই সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন বর্ষীয়ান সাংসদ জহর সরকার (Jawhar Sircar)। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষকে রাজ্যসভায় পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা সন্দীপন মিত্র। পাশাপাশি গত তিন বছরে দলের জন্য কী করেছেন জহর সরকার সেই প্রশ্নও তুলেছেন।
মডেলিংয়ের নামে তরুণীর শ্লীলতাহানি, আরজি কর কাণ্ডের মাঝে ভয়ঙ্কর অভিযোগে উত্তাল তিলোত্তমা