/indian-express-bangla/media/media_files/1Cs20fieIUsX9SuhO2Xa.jpg)
নির্যাতিতার পরিবারের পাশে রাষ্ট্রপতি মুর্মু
RG Kar Case: আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে কর্মরত তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার এক বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও ন্যায়বিচারের দাবিতে লড়াই জারি রেখেছেন নির্যাতিতার পরিবার। অবশেষে, বহুবার আবেদন জানানোর পর রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর দপ্তর থেকে সাড়া পেলেন নিহত চিকিৎসকের বাবা-মা।
আরও পড়ুন- বর্ধমান থেকে কলকাতা, শ্রীকৃষ্ণের পুণ্যজন্মতিথি জন্মাষ্টমীতে বাংলায় উৎসবের মেজাজ!
এবিষয়ে নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসকের বাবা জানান, দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা মেয়ের ন্যায় বিচার চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি ও ইমেল পাঠিয়ে হস্তক্ষেপের আবেদন করে আসছিলেন। অবশেষে রাষ্ট্রপতির দপ্তর থেকে তাঁদের আবেদন গ্রহণ করে জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রপতির আপ্ত সহায়ক তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে সমস্যাগুলি খতিয়ে দেখবেন। পরিবারের দাবি, রাইসিনা হিলসের এই বার্তা তাঁদের কিছুটা হলেও আশার আলো দেখিয়েছে। নির্যাতিতার বাবার কথায়, এর আগেও রাষ্ট্রপতিকে বেশ কয়েকবার ইমেল করলেও জবাব মেলেনি। গত ১৩ তারিখ রাতে ফের একবার গোটা ঘটনার কথা এবং ৯ অগাস্ট পুলিশি অত্যাচারের বিস্তারিত বিবরণ জানিয়ে ওনাকে মেল করি। পরের দিন রাষ্ট্রপতির দফতর থেকে একটি মেইল আসে। সেখানে এই বিষয়ে আমাদের পাশে থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে মুখ্যসচিবের কাছে ইমেল মারফত গোটা ঘটনায় বিস্তারিত বিবরণ জানতে চাওয়া হয়েছে"।
গত বছর আগস্টে কলকাতার বুকে ঘটে যাওয়া এই নারকীয় ঘটনা গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। ঘটনার পরদিনই কলকাতা পুলিশ সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে। পরে কলকাতা হাই কোর্ট মামলাটি সিবিআইয়ের হাতে হস্তান্তর করে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ট্রায়াল কোর্ট সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে। তবে পরিবারের দাবি সঞ্জয় একা নয়, এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে আরও অনেকেই। তাদের আড়াল করার চেষ্টা করছে সিবিআই। এনিয়ে ইতিমধ্যে নিহত চিকিৎসকের পরিবারের দিল্লিতে সিবিআই ডিরেক্টরের সঙ্গে দেখাও করেছেন।
আরও পড়ুন-মাঠে ঢুকে রেফারিকে লাথি তৃণমূল নেতার ভাইপোর, ভিডিও পোস্ট করে জোড়াফুলকে তুলোধনা শুভেন্দুর
এদিকে মেয়ের ন্যায়বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ জারি রেখেছে নির্যাতিতার পরিবার। গত ৯ আগস্ট, ঘটনার প্রথম বর্ষপূর্তিতে, নবান্ন অভিযানে পুলিশের লাঠিচার্জে গুরুতর আহত হন নির্যাতিতার মা। মাথায় আঘাত পাওয়ার কারণে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় মেডিকা হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসার পর গত রবিবারই তিনি বাড়ি ফেরেন। শারিরিক অসুস্থতার কারণে বর্তমানে তিনি বড় সমাবেশে যোগ দিতে পারছেন না। তবে পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁরা মেয়ের ন্যায় বিচারের যে কোন আন্দোলনের পাশে রয়েছেন। ছোট ছোট প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নিচ্ছেন নির্যাতিতার বাবা-মা।
১৪ আগস্ট অনুষ্ঠিত ‘রিক্লেম দ্য নাইট’ কর্মসূচিতেও পরিবারের সদস্যরা সীমিত আকারে অংশ নেন। শারীরিক অসুস্থতা থাকা সত্ত্বেও মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় ন্যায়বিচারের লড়াই থেকে তাঁরা সরে আসবেন না, এই বার্তায় দেওয়া হয়েছে নিহত চিকিৎসকের পরিবারের তরফে।
এই ঘটনায় বারবারই প্রশ্ন উঠেছে তদন্তের গাফিলতি, প্রশাসনিক দায়বদ্ধতার প্রশ্ন। রাষ্ট্রপতি ভবনের দপ্তর থেকে অবশেষে সাড়া মেলার পর নিহত চিকিৎসকের পরিবার আবারও নতুন করে ন্যায়বিচারের প্রত্যাশায় এগোচ্ছে।