আবারও বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে এনে শোরগোল ফেলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মুড়ির টিনে কালীঘাটে-শান্তিনিকেতনে টাকা নিয়ে যেতেন অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর। তিনি বলেন, ''সায়গলকে আটকানোর চেষ্টা করেছিল। মুড়ির টিনে করে কালীঘাটে টাকা নিয়ে যেত, শান্তিনিকেতনে যেতেন সায়গল।''
সিবিআই জিম্মা থেকে আপাতত ইডি হেফাজতে রয়েছেন গরু পাচার মামলায় অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত সায়গল হোসেন। এখন দিল্লিতেই ক'দিন জেরা চলবে অনুব্রতর এক সময়ের এই ছায়াসঙ্গীকে। গরু পাচার মামলায় সায়গলকে জেরায় বিস্ফোরক একাধিক তথ্য সামনে আসতে পারে বলে মনে করছেন ইডির আধিকারিকরা। বহু কাঠ-খড় পুড়িয়ে শেষমেশ সায়গলকে দিল্লি টেনে আনতে পেরেছে ইডি।
আরও পড়ুন- বিজেপির রাজ্য সভাপতি হচ্ছেন শুভেন্দু? দিলীপের ইঙ্গিতে জল্পনা তুঙ্গে
এই পর্বে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সর্বোচ্চ সাত দিন দিল্লিতে রেখে গরু পাচার মামলায় অন্যতম প্রধান এই অভিযুক্তকে জেরা করতে পারবে ইডি। সায়গলের হাত ধরেই গরু পাচারের টাকা বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হতো বলে আগেই অভিযোগ উঠেছিল। রবিবার সেই অভিযোগ ফের একবার প্রকাশ্যে এনে শোরগোল ফেলে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতার নিশানায় ফের তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তাঁর ভাইপো তথা সর্বভারতীয় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে CPM-কে পাশে চান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, কী উত্তর বামেদের?
সায়গলই মুড়ির টিনে নাকি কলকাতার কালীঘাট-শান্তিনিকেতনে টাকা পৌঁছে দিতেন, ঘুরিয়ে এভাবেই এদিন মমতা-অভিষেককে নিশানা করেছেন শুভেন্দু। তিনি এদিন বলেন, ''সায়গলকে আটকানোর চেষ্টা করেছিল। মুড়ির টিনে করে কালীঘাটে টাকা নিয়ে যেত, শান্তিনিকেতনে যেত সায়গল। সে দিল্লি গেছে। এবার যেখানে-যেখানে টাকা যেত তারাও যাবে ওর পিছনে।''