Sales of air conditioners increase as the weather warms up: গত কয়েক বছর ধরেই শহর থেকে শুরু করে জেলা, সর্বত্রই এয়ার কন্ডিশনার মেশিন বিক্রি ব্যাপকভাবে বেড়ে গিয়েছে। AC মেশিন বা এয়ার কন্ডিশনার এখন আর শুধুমাত্র বিলাসবহুল সামগ্রীর মধ্যেই পড়ে না,বরং দিন যতো এগোচ্ছে ততই এই বস্তুটি যেন অপরিহার্য্য সামগ্রী হয়ে উঠছে। চলতি বছরেও গরমের মরশুম পুরোদমে শুরু হওয়ার আগে থেকেই বেড়ে গিয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের বিক্রি। এবারও দেড় টনের এয়ার কন্ডিশনার মেশিনেরই বেশি চাহিদা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। এব্যাপারে বিশেষজ্ঞদেরও দাবি, দেড় টনের এসি কিছু শর্ত মেনে চালালে বিদ্যুতের খরচও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
শহর কলকাতার পাশাপাশি মফস্বল ও অন্যান্য জেলাগুলিতে শীত পাততাড়ি গোটানোর পর থেকেই বাড়তে শুরু করেছে এয়ার কন্ডিশনার মেশিনের বিক্রি। অসহ্য গরমের দিন শুরুর আগেই অনেকে এসি কিনে ফেলছেন। বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, এবারেও গরমের মরশুম শুরুর আগেই দেড় টনের এসি-ই বেশি বিক্রি হচ্ছে। সাধারণ বাড়িতে এই দেড় টনের এসি ভালোভাবে ফিট করে। সেই কারণে এই এসির চাহিদা সবচেয়ে বেশি। তবে শুধু এসি মেশিনই নয়, ইতিমধ্যেই কুলারের বিক্রিও বাড়তে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের একটি ইলেকট্রনিক্সের শোরুমের কর্মী ঋক হালদার। তিনি জানালেন, ইতিমধ্যেই তাঁদের শোরুমে এয়ার কন্ডিশনার মেশিনের বিক্রি বাড়তে শুরু করেছে। গত বছর মার্চ মাসের তুলনায় চলতি মার্চে এসি মেশিনের বিক্রি বেড়েছে। গরমের মরশুম পুরোদমে শুরু হয়ে গেলে এই বিক্রি আরও বাড়বে বলে তিনি আশাবাদী। তাঁদের শোরুমেও দেড় টনের এসি মেশিনই বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওই যুবক। তবে এসির পাশাপাশি ইদানিং কুলারের চাহিদাও বাড়ছে বলে তিনি জানান। এসির চেয়ে কুলারের দাম বেশ সস্তা। তাই একাংশের ক্রেতা অসহ্য গরম থেকে বাঁচতে কুলারের প্রতিও বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live: আজ থেকেই টানা ১৬ দিন বন্ধ একাধিক লোকাল ট্রেন, ভোগান্তি এড়াতে বিশদে জানুন
উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের আরও একটি ইলেকট্রনিক্স শোরুমের কর্মী ইকবাল সোহান জানান, তাঁদের শোরুমেও এবছর হোলির পর থেকে এসি বিক্রি বাড়তে শুরু করেছে। এবছর গরম পড়ার আগেই এসি-র চাহিদা এমনভাবে বেড়ে যাওয়ায় শোরুম কর্তৃপক্ষ বেশ আশাবাদী। গরম আরও বাড়লে এসি বিক্রিও আরও বাড়বে বলে আশাবাদী তাঁরা।
আরও পড়ুন- Rhino: জলদাপাড়া, গরুমারায় বেড়েছে গণ্ডারের সংখ্যা, উচ্ছ্বসিত বনমন্ত্রী
সাধারণভাবে দেড় টনের এসিরই বেশি চাহিদা রয়েছে। এবছর গরম পড়তে না পড়তেই এসি বিক্রি বেড়েছে রাজ্যের সর্বত্র। সেখানেও দেখা গিয়েছে, দেড় টনের এসি বিক্রির সংখ্যাই বেশি। বিশেষজ্ঞরাও জানিয়েছেন, এই দেড় টনের এসি চালালে বিদ্যুতের বিলও নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। দেড় টনের এসি বেশি বিক্রি হওয়ার মূল কারণ হল, এটি মাঝারি থেকে বড় আকারের ঘর ঠান্ডা করতে বেশ কার্য্যকর। শুধু তাই নয়, এই দেড় টনের এসি বিদ্যুতের ব্যবহার তুলনামূলকভাবে কম করে। দেড় টনের ইনভার্টার এসি বিদ্যুতের ব্যবহার কমিয়ে দেয় যা বিদ্যুৎ বিল কমাতে সাহায্য করে।