/indian-express-bangla/media/media_files/2025/07/04/samik-dilip-2025-07-04-10-49-46.jpg)
Samik Bhattacharya & Dilip Ghosh: শমীক ভট্টাচার্য ও দিলীপ ঘোষ।
Shamik Bhattacharya meets Dilip Ghosh:বর্তমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রাক্তনের। শমীক ভট্টাচার্য্য যখন BJP-র রাজ্য সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন তখন দিলীপ ঘোষ ছিলেন কলকাতা থেকে অনেক দূরে দুর্গাপুরে। রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর শমীক ভট্টাচার্য এবার নিজে ফোন করেছিলেন দিলীপ ঘোষকে। শমীকের বার্তা পেয়ে এবার সল্টলেকে বিজেপি দপ্তরে হাজির দিলীপ। পূর্বসূরীকে কাছে পেয়ে রীতিমতো যেন চাঙ্গা মেজাজ শমীক ভট্টাচার্যেরও। সল্টলেকের দপ্তরে হাজির কয়েকশো কর্মীর উদ্দেশ্যে তিনি বললেন, "১৫ দিনের মধ্যে সংঘবদ্ধ বিজেপিকে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ দেখতে পাবে।" সেই সঙ্গে দলের অগণিত কর্মীদের আশ্বস্ত করে শমীক ভট্টাচার্য জানান, শীঘ্রই তিনি জেলা সফরেও যাবেন ও সবার সঙ্গে দেখাও করবেন।
দিন কয়েক আগেই সুকান্ত মজুমদারকে সরিয়ে শমীক ভট্টাচার্যকে দলের রাজ্য সভাপতি করেছে বিজেপি। কলকাতা সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে শমীক ভট্টাচার্যকে দলের রাজ্য সভাপতি হিসেবে বরণ করে নেন শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদাররা। সূত্রের খবর, শমীক ভট্টাচার্য তাঁর অভিষেকের অনুষ্ঠানে দিলীপ ঘোষকেও উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করেছিলেন। তিনি নাকি নিজে ফোন করেছিলে দিলীপ ঘোষকে। যদিও সেই সময় দলের রাজ্য নেতৃত্বের তরফে দিলীপ ঘোষের কাছে আলাদা করে আমন্ত্রণপত্র না যাওয়ায় শমীকের অভিষেকের অনুষ্ঠানে গরহাজির ছিলেন প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।
তবে এবার শমীক ভট্টাচার্য নিজে আরও একবার ফোন করেছিলেন দিলীপ ঘোষকে। সেই ফোনেই মঙ্গলবার বিকেলে সল্টলেকের বিজেপির কার্যালয়ে হাজির দিলীপ ঘোষ। শমীক ভট্টাচার্যের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ ঘিরে রীতিমতো যেন চনমনে বিজেপির পুরনো কর্মীরাও। সল্টলেকের বিজেপি দপ্তরে এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে জড়ো হয়েছিলেন বিজেপির কর্মীরা। দিলীপ ঘোষ যখন বিকেল চারটের পরে বিজেপি দপ্তরে ঢুকছেন তখন তাঁকে ঘিরে উপচে পড়া ভিড়।
এদিন সল্টলেকের কার্যালয়ে কর্মীদের জমায়েত দেখে আপ্লুত দলের নতুন রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বললেন, "আমরা সবাই বিজেপি। আমাদের সবার প্রতীক পদ্মফুল। ক্ষণিকের জন্য কোথাও ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে, দূরত্ব হতে পারে। এর মানে এই নয় যে সে দলের বাইরে চলে গেছেন। ১৫ দিনের মদ্যে সংঘবদ্ধ বিজেপিকে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ দেখতে পাবেন। বিজেপি ঐক্যবদ্ধ ছিল, আছে, থাকবে। আমি সব জেলায় যাব। একজন বিজেপি কর্মীও যেন দলের বাইরে না থাকেন।"
আরও পড়ুন- Calcutta High Court: SSC-এর নয়া নিয়োগে অতিরিক্ত ১০ নম্বর কেন? ডিভিশন বেঞ্চে দায়ের মামলা
তিনি আরও বলেন, কাউকে অন্য দলের লোক বলে দূরে সরিয়ে রাখবেন না। এটা পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচানোর লড়াই। তৃণমূলকে যাঁরা দাঁড় করিয়েছিলেন অথচ এখন সে দলে তিনি থাকতে পারছেন না তাঁদেরও সঙ্গে নিন। বামপন্থীদেরও সঙ্গে নিন। আগে পশ্চিমবঙ্গকে রক্ষা করুন। এটা অস্তিত্ত্ব রক্ষার সংকট। হিন্দু বাঙালিদের জন্য শেষ নির্বাচন। প্রগতিশীল মুসলমানদের জন্যও এটা শেষ নির্বাচন। পরের নির্বাচনেও যদি মমতা ব্যানার্জি ফিরে আসেন তাহলে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ভিতরটার সঙ্গে জম্মু কাশ্মীরের বিধানসভার ভিতরের পার্থক্য থাকবে না।"