Purba Bardhaman News: রাজ্যের স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তোলপাড়! এমন কাণ্ডে তাজ্জব খোদ অধ্যক্ষই
East Burdwan: এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো তাজ্জব বনে গিয়েছেন অনেকেই। পুলিশও ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। যদিও এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ঘটনার কিনারা হয়নি।
East Burdwan: এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো তাজ্জব বনে গিয়েছেন অনেকেই। পুলিশও ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। যদিও এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ঘটনার কিনারা হয়নি।
Sandalwood trees: খোদ রাজ্যের বিখ্যাত শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ক্যাম্পাস থেকে মূল্যবান দুটি চন্দন গাছ চুরি। ঘটনার পর কয়েকদিন কেটে গেলেও পূর্ব বর্ধমান জেলর কলানবগ্রাম শিক্ষা নিকেতন ক্যাম্পাসের ভিতর থেকে দুটি চন্দন গাছ কেটে নিয়ে পালানো দস্যুদের কোনও হদিশ পায়নি পুলিশ। যদিও বর্ধমানে 'চন্দন দস্যু'দের সন্ধানে পুলিশের জোরদার তল্লাশি জারি রয়েছে।
Advertisment
দ্বিতীয় শান্তিনিকেতন হিসাবে পরিচিত কলানবগ্রাম শিক্ষা নিকেতন। এটি পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি ১ নম্বর ব্লকের দলুই বাজার-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় অবস্থিত। শিক্ষানিকেতনের ক্যাম্পাসের ভিতরে ছিল মূল্যবান দুটি সাদা চন্দনের গাছ। অভিযোগ, গত সোমবার গভীর রাতে চন্দন দস্যুরা মূল্যবান সেই চন্দন গাছ দুটি কেটে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরের দিন সকালে শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রিন্সিপাল বিষয়টি জানতে পারেন। প্রিন্সিপাল ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও মেমারি থানাকেও বিষয়টি জানান। পাশাপাশি তিনি বনদপ্তর এবং বিভাগীয় বনাধিকারিককেও বিষয়টি জানিয়ে দেন।
প্রিন্সিপালের কাছ থেকে চন্দন গাছ চরি হয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে মেমারি থানা পালসিট ফাঁড়ির ঘটনার তদন্তে নামে। যদিও চন্দন গাছ পাচার করে দেওয়ার ঘটনায় জড়িত চন্দন দস্যুদের নাগাল পুলিশ এখনও পায়নি। নৈশপ্রহরী এবং আবাসিক শিক্ষার্থীরা থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, সেই প্রশ্নই এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। প্রিন্সিপালের অনুমান, “হয়তো কোনও রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করে চন্দন দস্যুরা নাইটগার্ড সহ আবাসিকদের অচৈতন্য করে দিয়ে মূল্যবান দুটি চন্দন গাছ কেটে চুরি করে নিয়ে পালিয়েছে।"
এলাকাবাসীদের কথায় জানা গিয়েছে, চন্দন গাছ দুটি বহু দিনের পুরানো। স্বাধীনতা সংগ্রামী বিজয় ভট্টাচার্যের আমলে কলানবগ্রামের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের লাইব্ররির পাশে দুটি শ্বেত চন্দন গাছ লাগানো হয়েছিল। গাছগুলির অনেকটা বড় হয়ে গিয়েছিল। মঙ্গলবার সকালে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ঝাড়ুদার রাজেন্দ্র রাজবংশী কাজে এসে দেখেন পাঁচিলের তার কাটা। সন্দেহ হওয়ায় তিনি অনুসন্ধান চালিয়ে দেখেন শিক্ষানিকেতনের ক্যাম্পাসের ভিতরে থাকা চন্দন গাছ দুটি গোড়া থেকে কেটে নিয়ে গেছে চন্দন দস্যুরা। গাছের গোড়ার খানিকটা অংশ পড়ে রয়েছে। এমনটা দেখেই তিনি প্রিন্সিপালকে ঘটনা বিষয়ে জানান। চন্দন গাছ কাটা বেআইনি।
Sandalwood theft: এই সেই চন্দন গাছের গোড়া। উপরের অংশ কেটে নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা।
অধ্যক্ষ প্রদীপ কুমার বিশ্বাস জানান, চুরির ঘটনার সময় শিক্ষানিকেতনে নৈশ প্রহরী ও ৫-৭ জন আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। তারা রাত প্রায় ১টা পর্যন্ত জেগেছিলেন। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সন্ধ্যা ৬ টার পর যথারীতি গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তিনি জানান, সবাই রাত ১টার পর যখন ঘুমোতে চলে যায় তখন সীমানা প্রাচীরের কাঁটাতারের বেড়া কেটে দুষ্কৃতীরা ভিতরে ঢুকে গাছ দুটি কেটে নিয়ে যায়। কিন্তু কেউই গাছ কাটায় ব্যবহৃত মেশিনের কোনও শব্দও শুনতে পাননি। অধ্যক্ষ বলেন, "আমার অনুমান মূল্যবান চন্দন গাছ কেটে চুরি করে নিয়ে পালানোর আগে চন্দন দস্যুরা কোনও রাসায়নিক ব্যবহার করে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সকলকে বেহুঁশ করে দিয়েছিল।’