TMC Leader Sheikh Shahjahan Arrested: ED-র উপর হামলার ঘটনার পর ৫৬ দিনের মাথায় অবশেষে গ্রেফতার করা হয়েছে বাহুবলী তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে। শাহজাহানের গ্রেফতারি ইস্যুতে তৃণমূলের মুখপাত্র শান্তনু সেন বলেছেন, “শাহজাহানের গ্রেফতারি এটা প্রমাণ করল যে তৃণমূল সরকার রাজধর্ম পালন করে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, উত্তম সরদার, শিবু হাজরাদের বিরুদ্ধে যেভাবে পদক্ষেপ করা হয়েছিল সেভাবেই শাহজাহানকে গ্রেফতার করা হল। শেখ শাহাজাহানের গ্রেফতারি এটা প্রমাণ করল যে পুলিশও রাজধর্ম পালন করেছে।”
TMC leader Sheikh Shahjahan Arrested: গ্রেফতারের পরেও ঝাঁঝ এতটুকুও কমেনি শাহজাহানের। এদিন বসিরহাট আদালত ছাড়ার সময় হাত নাড়তেও দেখা গেল বাহুবলী এই তৃণমূল নেতাকে। বসিরহাট আদালত শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। এদিন এই নির্দেশ শোনার পর আদালত চত্বর থেকে বেরনোর সময়ে বিন্দুমাত্র উদ্বেগের ছাপ দেখা যায়নি শাহজাহানের চোখে-মুখে। বরং এদিন তার সাজ-পোশাক আর আব-ভাবে জোর চর্চা ছড়িয়েছে।
Advertisment
এযেন 'সম্রাট শাহজাহান'! বিচারকের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ শুনে গট-গট করে হেঁটে গিয়ে কোর্ট ছাড়লেন বাদশা। এদিন সকাল ১০.৩৭ মিনিটে বসিরহাট আদালতে তোলা হয়েছিল সন্দেশখালির (Sandeshkhali) 'বেতাজ বাদশা' শেখ শাহজাহানকে। মাত্র মিনিট দশেক চলে শুনানি। বেলা ১১টার আগেই এজলাস থেকে বের করা হয় শাহজাহানকে।
তখনই 'শাহাজানি' মেজাজে ধরা দেন সন্দেশখালির 'ত্রাস'। এদিন কোর্ট থেকে বেরনোর সময়ে তার পরনে ছিল জহরকোট- সাদা জামা-সাদা প্যান্ট ও পায়ে সাদা স্নিকার। একেবারে আগের মেজাজেই 'বাদশা'র মতো গট-গট করে হেঁটে চলেছেন শাহজাহান। চোখে-মুখে উদ্বেগের লেশমাত্র নেই। বরং এদিনও বেশ 'কনফিডেন্ট' লাগছিল সন্দেশখালির 'বাঘ'কে। ভাবখানা এমন, যেন কিছুই হয়নি, 'দ্রুত সামলে নেব।'
বৃহস্পতিবার বসিরহাট আদালতে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন ছিল। রাতে গ্রেফতারের পরে তাকে এনে রাখা হয়েছিল বসিরহাট কোর্ট লক আপে। ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানান সরকারি আইনজীবী। তবে শাহজাহানকে ১০ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। শাহজাহানের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছিল। ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯ ধারা-সহ একাধিক ধারায় মামলা হয়।