SCO summit 2025 terrorism: পাক-চিনের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াল ভারত, এসসিও ঘোষণাপত্রে সই করলেন না রাজনাথ।
পাহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর আন্তর্জাতিক মহলে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থান আরও কঠোর হয়েছে। এই প্রেক্ষিতেই চিনে অনুষ্ঠিত সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (SCO)-র প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকে ভারত যৌথ ঘোষণাপত্রে সই করতে অস্বীকার করেছে। কারণ, ওই ঘোষণাপত্রে পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কোনও উল্লেখ ছিল না।
সূত্রের খবর, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং মনে করেছেন, এই ঘোষণাপত্রে সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়ে বিষয়টিকে ‘দুর্বল’ করার চেষ্টা হয়েছে। এর ফলে ভারতের কড়া অবস্থান 'ক্ষুন্ন' হতে পারত। তাই তিনি এসসিও-র নথিতে সই না করার সিদ্ধান্ত নেন। বৈঠকে বেলুচিস্তানের প্রসঙ্গ থাকলেও, পাহেলগাঁওয়ের ২৬ জন নিরীহ পর্যটকের উপর হওয়া সাম্প্রতিক হামলার কথা উল্লেখই করা হয়নি। এই পক্ষপাতদুষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি মেনেই ভারত কড়া বার্তা দেয় SCO-কে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কড়া বার্তা
রাজনাথ সিং SCO বৈঠকে বলেন, "সন্ত্রাসবাদ আর শান্তি কখনও একসঙ্গে চলতে পারে না। যারা সন্ত্রাসকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে, তাদের জবাবদিহি করতে হবে। দ্বৈত মানদণ্ড চলবে না।" তিনি আরও বলেন, “সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দেওয়া দেশগুলোর বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে। বিশেষত যারা তাদের নিজস্ব স্বার্থে সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেয়, তাদের SCO-রও সমালোচনা করা উচিত।”
চিনের মাটিতে পাকিস্তানকে একহাত
চিনের মাটিতে দাঁড়িয়ে রাজনাথ সিং কার্যত পাকিস্তানকে একহাত নেন। বলেন, লস্কর-ই-তৈয়বার মতো গোষ্ঠীগুলির আগের হামলার ধরণেই পাহেলগাঁও হামলা হয়েছে। অথচ এই প্রসঙ্গে চিন ও পাকিস্তানের মদতে তৈরি ঘোষণাপত্রে একটিও শব্দ নেই! তাই ভারত যৌথ বিবৃতিতে সই করেনি। সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে ভারত তার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি বজায় রাখছে, এবং এবার আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলকেও তা বুঝিয়ে দিল।