/indian-express-bangla/media/media_files/2025/07/01/kharagpur-2025-07-01-10-37-49.jpg)
Kharagpur senior left leader assaulted: সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিও থেকে নেওয়া ছবি।
Baby Koley show-cause notice: খড়্গপুরে রাস্তায় ফেলে প্রবীণ বাম নেতাকে মারধরের ভিডিও ভাইরাল হতেই দলের ডাকাবুকো নেত্রী বেবি কোলের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিল তৃণমূল। দলের তরফেই তার নামে FIR দায়ের করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, তার কৃতকর্মের জন্য তাকে শোকজ করেছে দল। তিন দিনের মধ্যে উত্তর দিতে বলা হয়েছে বেবি কোলেকে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিও-য় দেখা গিয়েছে খড়্গপুরের প্রবীণ বাম নেতা অনিল দাসকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করছেন তৃণমূল নেত্রী বেবি কোলে। রাস্তায় ফেলে ওই বয়স্ক ব্যক্তিকে রীতিমতো কিল, চড়, লাথি, ঘুসি, জুতোপেটা পর্যন্ত করতে দেখা গিয়েছে বেবিকে। বেবির সঙ্গে আরও জনা তিনেক মহিলাকেও দেখা যায় প্রবীণ বাম নেতাকে মারধর করতে।
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল, ভরা রাস্তায় একজন প্রবীণ ব্যক্তিকে সকলের সামনে এভাবে মারধর করা হলেও স্থানীয়রা কেউ এগিয়ে আসেননি বৃদ্ধকে বাঁচাতে। বরং সেই মারধরের দৃশ্য দাঁড়িয়ে দেখতে রীতিমতো ভিড় জমে গিয়ছিল। অনেকে আবার সেই মারধরের ঘটনা তাদের মুঠো ফোনে বন্দিও করেছেন।
যদিও এই বিষয়টি নজরে আসার পরেই তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব জেলা নেতৃত্বকে এই ব্যাপারে কঠিন পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দেয়। তারপরেই তৃণমূলের মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা তৃণমূল নেত্রী বেবি কোলেকে শোকজ নোটিশ পাঠিয়েছেন। বেবি কোলে একজন প্রবীণ মানুষকে এভাবে হেনস্থা করায় দলেরই ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে বলে মনে করে তৃণমূল। বেবিকে শোকজ করা হয়েছে এবং দলের তরফে তার বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু করা হয়েছে। শোকজের উত্তর আগামী তিন দিনের মধ্যে বেবিকে দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন-LPG cylinder price cut:মাস পয়লায় বিরাট স্বস্তি, এক ধাক্কায় কত টাকা কমল রান্নার গ্যাসের দাম?
যদিও অভিযুক্ত বেবি কোলে নিজে কিন্তু তার কৃতকর্মের জন্য এতটুকুও অনুতপ্ত নন। বরং পাল্টা তিনি জানিয়েছেন, ওই বৃদ্ধকে মারধর করার পিছনে আর্থিক প্রতারণার একটি অভিযোগ রয়েছে। বেবির অভিযোগ, ওই বৃদ্ধ বাম নেতা বছর দু'য়েক আগে তিন মহিলার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে নিয়েছিলেন তাদের কাজ পাইয়ে দেবেন বলে। সেই টাকা ফেরত চাইতে গেলে ওই বাম নেতা মহিলাদের কু-প্রস্তাব দিয়েছেন বলে অভিযোগ বেবির।
যদিও এমন গুরুতর অভিযোগ পাওয়ার পরেও ওই তিন মহিলা প্রবীণ বাম নেতার বিরুদ্ধে কেন পুলিশের দ্বারস্থ হননি তা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে। একইসঙ্গে বেবির বিরুদ্ধে নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়ার অভিযোগও তুলেছে বিভিন্ন মহল।