Separate voter card for same person in Bongaon with separate Epic number: একই ব্যাক্তির দুই নামে দুটি ভোটার কার্ড। যার এপিক নম্বরও আলাদা। স্থানীয় কাউন্সিলর ভোটার তালিকার স্ক্রুটিনি করতে গেলে বিষয়টি সামনে আসে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল বনগাঁর ২০ নম্বর ওয়ার্ডে। বর্তমান তৃণমূল কাউন্সিলর এই ঘটনায় পূর্বতন বাম কাউন্সিলরকে দায়ী করেছেন। যদিও উল্টে শাসকদলের বিরুদ্ধেই কারচুপির অভিযোগ এনেছে বামেরা।
সম্প্রতি 'ভূতুড়ে ভোটার' নিয়ে জোরদার চর্চা শুরু হয়ে গেছে রাজ্য জুড়ে। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, বাংলার ভোটার লিস্টে নাম রয়েছে ভিন রাজ্যের ভোটারদের। এক্ষেত্রে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপির পাশাপাশি খোদ নির্বাচনকে কমিশনকেই দায়ী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলনেত্রীর নির্দেশে এরপর ভোটার লিস্ট থেকে 'ভূত' তাড়াতে পথে নেমেছে তৃণমূল। জেলা থেকে শহর, সর্বত্র চলছে 'ভূতুড়ে ভোটার' তাড়ানোর কাজ। শনিবার বনগাঁতেও ভোটার তালিকার স্ক্রুটিনির কাজ করতে বেরিয়েছিলেন তৃণমূলের কাউন্সিলররা। বনগাঁর ২০ নম্বর ওয়ার্ডে এক ব্যক্তির নামে দুটি ভোটার কার্ডের খোঁজ মেলে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাপানউতোর শুরু হয়ে যায় ওই এলাকায়।
বনগাঁর ২০ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওই ব্যক্তির নাম বিপ্লব সেন। কিন্তু ২০১৪ সালে তাঁর ডাক নাম বাপ্পা সেন নামে ভোটার কার্ড তৈরি হয়। তৎকালীন সময়ে সেই ভোটার কার্ড জমা দিয়ে তিনি বিপ্লব সেন নামে ভোটার কার্ডের জন্য আবেদন করেন। বিপ্লবের দাবি, তখন বিপ্লব সেন নামে নতুন ভোটার কার্ড তৈরিও হয়। যার এপিক নম্বর আলাদা। কিন্তু পুরনো কার্ড বাতিল হয়নি।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live:'নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বাংলাদেশের নারীরা', ইউনুসকে তুলোধনা BNP-র
বিষয়টি নিয়ে তৎকালীন বাম কাউন্সিলরকে দায়ী করেছেন ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান তৃণমূল কাউন্সিলর নারায়ণ ঘোষ। তিনি এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে জানাবেন বলে জানিয়েছেন। এদিকে, তৃণমূলের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সিপিআইএম বনগাঁ শহর এরিয়া কমিটির সম্পাদক সুমিত কর।
আরও পড়ুন- Cyber Crime: মোটা টাকা আয়ের প্রলোভনে ফোন, টোপ গিলতেই 'লুঠ' কোটি টাকা, শেষমেশ জালে প্রতারক
তিনি বলেন, "আমরা প্রতিবার এই ধরনের ভোটারদের নাম বাদ দিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে তালিকা জমা দিই। কিন্তু নির্বাচন কমিশন কাটে না। কারণ, এই ভোট গুলি তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্ক।" অন্যদিকে, বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি দেবদাস মণ্ডলের দাবি, "এই ভোটগুলি আগে বামেদের ভোট ব্যাঙ্ক ছিল, এখন তৃণমূলের। সেই কারণে নাম কাটা হয়নি। তৃণমূল দেখে দেখে মতুয়াদের ভোট এবং বিজেপির সমর্থকদের নাম কাটছে।"