Sheikh Shahjahan Arrested: গ্রেফতারের পর সাঁড়াশি প্যাঁচে শেখ শাহজাহান! মারাত্মক সব অভিযোগ, খোলসা করলেন আইনজীবী
TMC Leader Sheikh Shahjahan Arrested: শেখ শাহজাহানের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশের খবর ছড়িয়ে পড়তেই উৎসবের মেজাজ সন্দেশখালিজুড়ে। অকাল হোলি দ্বীপাঞ্চলের প্রায় সর্বত্র। একে অপরকে মিষ্টিমুখ করাতে দেখা গিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। অনেকে আবির ছুড়ে উৎসবের মেজাজে মাতোয়ারা। এমনকী আতসবাজি ফাটিয়ে অকাল দীপাবলি পালন করতেও দেখা গিয়েছে গ্রামবাসীদের। শাহজাহানের গ্রেফতারি নিয়ে সন্দেশখালির ঘোজাপাড়ার এক বাসিন্দার কথায়, ‘শান্তি পাব মনে হচ্ছে। এবার নির্ভয়ে বাস করতে পারব। অর্ধেক রাত জেগে থাকতে হবে না। বাড়ি থেকে মেয়ে, বউদের আর কেউ তুলে নিয়ে যাবে না। শেখ শাহাজাহান শাস্তি পাক, এটাই চাই।’
TMC Leader Sheikh Shahjahan Arrested: শেখ শাহজাহানের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশের খবর ছড়িয়ে পড়তেই উৎসবের মেজাজ সন্দেশখালিজুড়ে। অকাল হোলি দ্বীপাঞ্চলের প্রায় সর্বত্র। একে অপরকে মিষ্টিমুখ করাতে দেখা গিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। অনেকে আবির ছুড়ে উৎসবের মেজাজে মাতোয়ারা। এমনকী আতসবাজি ফাটিয়ে অকাল দীপাবলি পালন করতেও দেখা গিয়েছে গ্রামবাসীদের। শাহজাহানের গ্রেফতারি নিয়ে সন্দেশখালির ঘোজাপাড়ার এক বাসিন্দার কথায়, ‘শান্তি পাব মনে হচ্ছে। এবার নির্ভয়ে বাস করতে পারব। অর্ধেক রাত জেগে থাকতে হবে না। বাড়ি থেকে মেয়ে, বউদের আর কেউ তুলে নিয়ে যাবে না। শেখ শাহাজাহান শাস্তি পাক, এটাই চাই।’
TMC leader Sheikh Shahjahan Arrested: বাঁদিকে বসিরহাট আদালতে শেখ শাহজাহান। ডানদিকে তার আইনজীবী রাজা ভৌমিক। এক্সপ্রেস ফটো: শশী ঘোষ।
TMC leader Sheikh Shahjahan Arrested: সন্দেশখালিতে ED-র উপর হামলার ঘটনার ৫৬ দিনের মাথায় শেখ শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারের পর তাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। কোন কোন ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে বাহুবলী এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে? আদালত চত্বরে দাঁড়িয়েই জানালেন শেখ শাহজাহানের আইনজীবী রাজা ভৌমিক।
Advertisment
এদিন বসিরহাট আদালতের বাইরে শাহজাহানের আইনজীবী রাজা ভৌমিক বলেন, "৩৩৩, ৩০৭, ৩৯২, ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ১৮৬, ১৮৯, ৩৯৫, ৩৯৭, ৪২৬, ৪৪০,৩৪২, ১৪৩, ১০৯ সব আছে। এগুলোর মধ্যে অধিকাংশই জামিন অযোগ্য ধারা। শুধু ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯ এগুলো বাদ দিয়ে আর ১৮৯, ৩২৩, ৪২৭ বাদ দিয়ে অধিকাংশই জামিন অযোগ্য ধারা।"
কী অভিযোগ শাহাজাহানের বিরুদ্ধে?
এপ্রসঙ্গে শাহজাহানের আইনজীবী বলেন, "অভিযোগ হচ্ছে যে ED গিয়েছিল তার বাড়িতে। তার বাড়িতে গেলে এলাকার লোকজন তাদের আটকায়। তদন্তে বাধা দেয়। হামলা, মারধর করে। কিছু জিনিসপত্র খোয়া যায়। এই হচ্ছে মূল অভিযোগ। কিন্তু দেখা যাচ্ছে FIR শুরু হয়েছে শাহজাহানের নামে। কিন্তু শাহজাহানের নাম বা তার ভূমিকা FIR-এ সেভাবে বলা নেই। ওদের বক্তব্য, শাহজাহানের প্ররোচনাতেই সব হয়েছে। সেই গ্রাউন্ডেই পুলিশ হেফাজতের আবেদন করেছে। ১৪ দিন চেয়েছিল, বিচারক ১০ দিনের পুলিশ হেফাজত দিয়েছে। আমরা আবেদন করেছিলাম যখন জিজ্ঞাসাবাদ হবে তখন যেন আমি থাকতে পারি। আদালত সেটা মঞ্জুর করেছে। ন্যাজাট ৮-এ শোন অ্যারেস্টের আবেদন করা হয়। ওটাও একই ঘটনার প্রেক্ষিতে। ন্যাজাট ৮-টা করেছে ন্যাজাট থানার পুলিশ। ন্যাজাট ৯-টা করেছেন ইডি আধিকারিক।।"
উল্লেখ্য, আপাতত ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে সন্দেশখালির দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। বুধবার রাতে মিনাখাঁর বামুনপুকুর থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে বসিরহাট কোর্ট লক আপে এনে রাখা হয়। এদিন বেলা বাড়লে আদালতে তোলা হয় শাহজাহানকে। বিচারক তাকে ১০ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এদিন আদালতের নির্দেশের পর ধপধপে সাদা কুর্তা-পাজামা ও পায়ে সাদা স্পোর্টস সু পরিহিত শাহজানকে হাত নেড়ে কোর্ট ছাড়তে দেখা গিয়েছে।
এদিকে, শাহজাহানের গ্রেফতারিতে দেরি নিয়ে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভের পাহাড় জমছিল। যদিও এদিন তার গ্রেফতারিতে দেরি প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার। তিনি সাংবাদিক বৈঠক করে এদিন বলেন, “আমাদের উপর আইনি বাধ্যবাধকতা ছিল। কিন্তু শাহজাহানকে গ্রেফতারে ইডির কোনও বাধ্যবাধকতা ছিল না। তারা কেন গ্রেফতার করল না? এই প্রশ্নটা থাকবে।”