/indian-express-bangla/media/media_files/2025/04/12/pIZM35R56cXdEachyTRt.jpg)
Kasba cop kick: পুলিশ ছেলের 'কীর্তি' নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন বাবা-মা।
SI Riton Das beats jobless teachers in Kasba, parents react to son's task: ২০১০ সালের সাব ইন্সপেক্টরের ব্যাচ রিটন দাস। এই মুহূর্তে তাঁর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল। কসবায় চাকরিহারা শিক্ষকদের DI অফিস ঘেরাও অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার-কাণ্ড বেধে যায়। শিক্ষকদের লাথি মারে পুলিশ। সেই ঘটনায় অভিযুক্ত কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) সাব ইন্সপেক্টর রিটন দাস। তাঁর লাথি মারার ছবিই সংবাদমাধ্যমের পর্দায় ছড়িয়ে পড়ে। নানাভাবে ভাইরাল হয়েছে সেই ছবি।
শিক্ষকদের লাথি মারার সেই ছবি ঘিরে কটাক্ষের স্রোত বয়ে গিয়েছে সামাজিক মাধ্যমগুলিতে। যদিও এব্যাপারে 'পুলিশ' ছেলের পাশেই দাঁড়াচ্ছেন তাঁর বাবা জ্যোতিন্দ্র কুমার দাস ও মা দিপালী দাস। গোসাবার শম্ভুনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঝাউখালির বাড়িতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তাঁরা জানান, আইন রক্ষা করতে গিয়েই এই ঘটনা ঘটেছে। নিজের প্রাণ বাঁচাতেই লাথি মারতে বাধ্য হয়েছেন রিটন। কারণ আগে তার জামাকাপড় ধরে টানাটানি, উর্দি খুলে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে দাবি তাঁর পরিবারের।
প্রায় ১৫-১৬ বছর আগে কলকাতা পুলিশে চাকরি পান রিটন দাস। বছর ১০-১২ ধরে কলকাতাতেই থাকেন তিনি। বর্তমানে বাঁশদ্রোণী থানা এলাকায় পুলিশ কোয়ার্টারে স্ত্রী ও একমাত্র কন্যাকে নিয়ে থাকেন রিটন। ছুটি পেলে গোসাবার বাড়িতেও আসেন। এলাকায় ভালো ছেলে বলেই পরিচিত রিটন। ছোট থেকেই পড়াশুনায় ভালো ছিলেন তিনি। ছোটবেলার খেলার সঙ্গীরাও এই ঘটনায় স্তম্ভিত।
গত বছর নির্বাচনের সময় যে বদলির নির্দেশিকা প্রকাশ হয়েছিল সেই সময় কসবা থানায় পোস্টিং দেওয়া হয় রিটন দাসকে। তার আগে নিউ আলিপুর থানায় ছিলেন। মাস খানেক ARO হিসেবে কাজ করেছিলেন নিউ আলিপুর থানায়। তার আগে বেহালা থানায় পোস্টিং ছিলেন। অফিসার হিসেবে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন বেহালা ও নিউ আলিপুর থানায়। বেহালার জেমস লং সরণিতে ফ্রিজারে তিন বছর ধরে মায়ের দেহ আগলে রাখার ঘটনার কেসের তদন্তকারী অফিসার ছিলেন এই রিটনই। নিউ আলিপুরে কর্মরত অবস্থায় এক অভিজাত আবাসনে চুরির ঘটনার কিনারা করেছিলেন। জলন্ধর থেকে গ্রেফতার করে এনেছিলেন অভিযুক্তকে।