Advertisment

'কর দেয় না রাজ্য-কেন্দ্র', ঢোল বাজিয়ে সরকারি ঘুম ভাঙাবেন অশোক ভট্টাচার্য

দীর্ঘদিন ধরে রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি শিলিগুড়ির পুরসভার হাতে এখনও আসেনি করের টাকা। এমতাবস্থায় তাই পথে নেমে ঢোল বাজিয়ে কর আদায় করবেন পুরকর্মীরা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

কর ফেরত পেতে নয়া পন্থা নিলেন শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। ছবি- সন্দীপ সরকার

বহু বছর ধরে শিলিগুড়ি পুরসভার পৌরকরের ক্ষেত্রে 'বাকি'র খাতায় নাম তুলেছে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার। দীর্ঘকাল শিলিগুড়িতে অবস্থিত রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দফতরগুলির থেকে প্রাপ্য করের পাচ্ছে না শিলিগুড়ি পুরসভা। এ জন্য রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠিচাপাটি পাঠালেও শিলিগুড়ির পুরসভার হাতে এখনও আসেনি কর রাজস্ব। অর্থাভাবে আটকে থাকা শিলিগুড়ি পৌর এলাকার উন্নয়নের কাজের পিছনে এই বকেয়া সরকারি কর একটা বড় কারণ, এমন দাবি করেই এবার দফতরগুলির দোরে দোরে ঢোল বাজিয়ে কর আদায়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মহানাগরিক অশোক ভট্টাচার্য। এদিকে, এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই শিলিগুড়ির মেয়রের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থকেরা।

Advertisment

আরও পড়ুন-যানজটে নিত্য নাকাল শিলিগুড়ি, সমাধানের আশায় দিল্লির দ্বারস্থ বিজেপি সাংসদ

জানা যাচ্ছে, কর পরিশোধ না করার তালিকায় শীর্ষস্থানে শিলিগুড়ির দীনবন্ধু মঞ্চ এবং বেশ কিছু সরকারি দফতর। এদিকে, করের উপর করের বোঝা চাপতে চাপতে সেই অর্থমূল্য এখন প্রায় কোটি টাকায় পৌঁছেছে। শিলিগুড়ির মেয়র তথা বাম নেতা অশোক ভট্টাচার্য্য জানান, এবার আর কথায় নয়, মাঠে নেমেই কর আদায় করবেন পুরকর্মীরা। পুরপ্রধানের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে কর আদায়ের চিঠি পাঠালেও কোনও সদুত্তর মেলেনি। অন্যদিকে, অর্থাভাবের জেরে আটকে পড়েছে শিলিগুড়ির উন্নয়নের বহু কাজ। তাই এমতাবস্থায় পথে নেমে ঢোল বাজিয়ে কর আদায় করার পথেই হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অশোক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বাধীন পুরসভা।

আরও পড়ুন- ‘প্রশান্ত কিশোর তৃণমূলকে মূলস্রোতে ফেরাতে পারবেন না’

কর না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শিলিগুড়ির পর্যটন দফতরের বিরুদ্ধেও। পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্যটন দফতরের বিভিন্ন অফিস যেমন মৈনাক টুরিস্ট লজের বিরুদ্ধে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা কর না দেওয়ার অভিযোগ আছে। এমনকি দীনবন্ধু মঞ্চের বিরুদ্ধেও ৭০ লক্ষ টাকার বেশি কর পাওনা শিলিগুড়ি পৌরসভার। সূত্রের খবর, রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের এরকম একাধিক অফিস থেকেই প্রায় লক্ষ লক্ষ টাকা কর বাকি রয়েছে। তবে এবার রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে ফের নোটিস দেবে শিলিগুড়ি পুরসভা। সেই নোটিসের কোনও সদুত্তর না আসলে ঢোল বাজিয়ে সরকারের ঘুম ভাঙাবে শিলিগুড়ি পুরসভা, এমনটাই জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন- বাগরাকোট রেলপথে ধর্নায় সিপিআইএম, আটকে বিদেশি পর্যটকেরা

এদিকে, শিলিগুড়ি পুরসভার এহেন সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী তথা শিলিগুড়ির তৃণমূল নেতা গৌতম দেব বলেন, "১৯৮৩ থেকে ২০১১ পর্যন্ত শিলিগুড়ি পুরসভার দায়িত্বে ছিল বামফ্রন্ট সরকার। এই সময়টুকুতে কতটা ট্যাক্স বাকি ছিল সেই অর্থের অঙ্কটা প্রকাশ করা হোক আগে"। পর্যটনমন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে শিলিগুড়ির মেয়র তথা সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য বলেন, "ইউপিএ আমলে বিদেশী ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়েছিল কংগ্রেস সরকার। তাই বলে কি মোদী সরকার সেটা শোধ করবে না? বাচ্চাদের মতো কথা বলছেন পর্যটনমন্ত্রী। যে করের অঙ্ক বাকি রয়েছে তার জেরেই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে শিলিগুড়ির উন্নয়নের কাজ। রাজ্য সরকার উন্নয়নের জন্য টাকাও দিচ্ছে না, এমনকী বাকি পুরকরের টাকাও পরিশোধ করছে না"।

শিলিগুড়ির সব খবর পড়ুন, এখানে

siliguri West Bengal
Advertisment