Operation Sindoor: অপারেশন সিন্দুর-এর পরদিন রাতেই পাকিস্তান ভারতের ১৫টিরও বেশি সামরিক ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে হামলার চেষ্টা চালায়। এই আক্রমণে ব্যবহার করা হয় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র, কিন্তু ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর তৎপরতায় এবং S-400 অ্যান্টি মিসাইল সিস্টেমের সাহায্যে পাকিস্তানের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। এরপরই ভারত পালটা হামলা চালায়। যার জেরে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় লাহোরে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম।
৭ ও ৮ মে মধ্য রাতে পাকিস্তান ভারতের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা করে। সে তালিকায় ছিল অবন্তীপুরা, শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, জলন্ধর, লুধিয়ানা, আদমপুর, চণ্ডীগড়, ভুজ সহ ১৫টি শহর। এরপরই আজ পাকিস্তানকে উচিৎ শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। 'লাহোরের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়' বলে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং ব্যোমিকা সিং। তাঁরা দুজনেই অপারেশন সিন্দুর সম্পর্কে তাঁদের বক্তব্য রাখেন।
বিদেশ মন্ত্রকের প্রেস ব্রিফিংয়ে কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং বলেছেন যে অপারেশন সিন্দুরের অধীনে কোনও পাকিস্তানি সামরিক ঘাঁটি টার্গেট করা হয়নি। তিনি বলেন, পাকিস্তান ভারতের অনেক শহরে ড্রোন হামলার চেষ্টা চালায়। আমরা আগেই পাকিস্তানকে সতর্ক করে দিয়েছিলাম। তিনি বলেন, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ভারতের ১৫টি সামরিক ঘাঁটিতে হামলার চেষ্টা করেছিল। ভারতীয় সেনাবাহিনী এই আক্রমণগুলি ব্যর্থ করে দেয়। প্রতিশোধ হিসেবে, লাহোরের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে ধ্বংস করা হয়।
গতরাতে হামলার মাত্র কয়েক ঘন্টা পরে, বৃহস্পতিবার সকালে ভারত প্রতিশোধ হিসাবে পাকিস্তানে হামলা চালায়। ইজরায়েল থেকে কেনা হার্পি ড্রোন ব্যবহার করে, ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা রাডার সিস্টেমকে টার্গেট করে। লাহোর, করাচি এবং শিয়ালকোটের মতো শহরে পাকিস্তানি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ব্যাপক ক্ষতি হয়।
এদিকে অপারেশন সিন্দুরের পর নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ফের হামলা চালায় পাকিস্তান। কুপওয়ারা, পুঞ্চ, বারামুল্লা, মেন্ধার এবং রাজৌরিতে মর্টার শেল নিক্ষেপ করা হয়েছিল। এই বর্বোরোচিত হামলায় ১৬ জন নিরীহ ভারতীয় নাগরিকের প্রাণহানি হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। যার মধ্যে তিনজন মহিলা এবং পাঁচজন নিরীহ শিশু ছিল।
ভারত ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক মঞ্চে স্পষ্ট করে দিয়েছে যে তারা যুদ্ধ চায় না, কিন্তু তাদের নিরাপত্তার সাথেও কোনও আপস করবে না। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আবারও জানিয়েছে যে ভারত পাকিস্তানের সামরিক সদর দপ্তরকে লক্ষ্য করেনি, শুধুমাত্র সেইসব স্থানগুলিতেই জবাব দেওয়া হয়েছিল যেখান থেকে ভারত আক্রমণ করেছিল। এদিনের সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানকে সন্ত্রাস বাদের আঁতুড়ঘর বলে উল্লেখ করেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি। পাকিস্তান জঙ্গিযোগকে সম্পূর্ণ প্রত্যাখানের চেষ্টা করছে বলে উল্লেখ করেন বিদেশ সচিব।
'কোনও কারণ ছাড়াই নিয়ন্ত্রণ রেখায় আক্রমণের তীব্রতা বাড়িয়েছে পাকিস্তান'
প্রেস ব্রিফিংয়ে উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং বলেন, কোনও কারণ ছাড়াই নিয়ন্ত্রণ রেখায় গুলিবর্ষণের তীব্রতা বাড়িয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তান অনেক জায়গায় মর্টার ব্যবহার করছে। এই হামলায় ১৬ জন নিরীহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। হামলায় ৫৯ জন আহত হয়েছেন।
ভারতীয় সেনাবাহিনী গতকালের হামলার ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করছে যেখানে পাকিস্তানি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনের টুকরো মেলে। কর্নেল সোফিয়া বলেন, এই ধ্বংসাবশেষই স্পষ্ট প্রমাণ যে পাকিস্তান ভারতীয় সামরিক ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করার চেষ্টা করেছিল। কর্নেল সোফিয়া কুরেশি সংবাদ সম্মেলনে স্পষ্ট করে বলেন যে ভারতের লক্ষ্য যুদ্ধকে উস্কে দেওয়া নয়, তবে ভারতের সীমান্ত বা সামরিক ঘাঁটিতে আক্রমণ করা হয়, তাহলে ভারত যোগ্য জবাব দিতে বিলম্ব করবে না।