soldier dies in Kashmir :দক্ষিণ কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে এনকাউন্টারে শহিদ হলেন পাঞ্জাবের প্রিতপাল সিং,মাত্র পাঁচ মাস আগে তিনি বিয়ে করেন। তার মৃত্যুর খবরে মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ল পরিবারের।
দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামে সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে তীব্র গুলির লড়াইয়ে শহিদ হলেন পাঞ্জাবের লুধিয়ানা জেলার মনুপুর গ্রামের ২৭ বছরের ল্যান্স নায়েক প্রিতপাল সিং। শুক্রবার ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে তাঁর গ্রামজুড়ে।
সেনা সূত্রে জানা গেছে, আখাল ফরেস্টে চলা সন্ত্রাসবাদবিরোধী অভিযান শুরু হয়েছিল নয় দিন আগে, যা সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম দীর্ঘতম সামরিক অভিযান। ঘন জঙ্গলের মধ্যে সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে লাগাতার গুলিবিনিময় চলছে। এই অভিযানে ১৯ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস (শিখ লাইট ইনফ্যান্ট্রি)-এর প্রিতপাল সিংকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোঁড়ে জঙ্গিরা। স্প্লিন্টারের আঘাতে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে হাসপাতালে তিনি শহিদ হন।
শনিবার এই খবর গ্রামের বাড়িতে পৌঁছাতেই নেমে আসে শোকের ছায়া। রবিবার তাঁর মরদেহ গ্রামে পৌঁছাবে এবং পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে বলে সেনা সূত্রে খবর।
প্রিতপালের দাদা হরপ্রীত সিং বলেন, "সে দেশের জন্য নিজের জীবন দিয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে হয়েছিল ভাইয়ের। স্ত্রী ভীষণ ভেঙে পড়েছে। আমরা প্রচন্ড দারিদ্র্যের মধ্যে বড় হয়েছি, বাবা দিনমজুর। সংসারের উন্নতির জন্যই সে আর্মিতে যোগ দিয়েছিল।"
হরপ্রীত জানান, প্রিতপালের একমাত্র ইচ্ছে ছিল বাবার ক্যানসারের চিকিৎসা সম্পূর্ণ করানো। মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে ৭ আগস্ট ফোনে কথা বলার সময়ও সে বাবার শারীরিক পরিস্থিতির খোঁজ খবর নেয়। রাখির সময় ছুটি নিতে পারবে না জানিয়ে সে বলেছিল, অভিযান শেষ করে দীপাবলিতে ফিরবে বলে জানিয়েছিল, কিন্তু আর ফেরা হল না।মৃতের বাবা হরবংশ সিং বলেন, "আমাদের কথা ভাবতে ভাবতেই সে চলে গেল। দীপাবলিতে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, আমরা অপেক্ষাতেই রয়ে গেলাম।