Son hacked his mother to death in Maldas Habibpur: গুটকা খাওয়ার জন্য কুড়ি টাকা চেয়েছিলেন মায়ের কাছে। আর সেই টাকা দিতে না পারায় প্রৌঢ়া মাকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠলো ছেলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দুপুরে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মালদার হবিবপুর থানার মধ্যমকেন্দুয়া গ্রামে। এই ঘটনার পর পাড়া-প্রতিবেশীরা ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত যুবককে আটকে রেখে ব্যাপক গণপিটুনি দেয়। পরে হবিবপুর থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় অভিযুক্ত ছেলে চয়ন সিংহকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত প্রৌঢ়ার নাম আরতি সিংহ (৫৬)। তার স্বামী রবি সিংহ দীর্ঘদিন আগেই মারা গিয়েছেন। পরিবারে একমাত্র ছেলে চয়নকে নিয়ে থাকতেন ওই বৃদ্ধা। চয়ণ পেশায় দিনমজুরের কাজ করে। গত দেড় মাস ধরে কাজ না থাকায় বাড়িতে বসে ছিল সে। এদিন দুপুরে মার কাছে গুটকা খাওয়ার জন্য কুড়ি টাকা নেওয়ার বায়না ধরে সে। সেই টাকা দিতে না পারায় বাড়িতে রাখা কুড়ুল দিয়েই বৃদ্ধা মায়ের মাথায় এলোপাথাড়ি আঘাত করে ওই যুবক। আর এতেই ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় ওই প্রৌঢ়ার।
মৃতের এক দিদি বন্দনা সিংহ বলেন, "ভাগ্নে চয়ণ সিংহ যে এমন কাজ করবে ভাবতেই পারেনি। ওদের পরিবারটি গরিব। চয়নের হাতে কাজ ছিল না বলে দেড় মাস ধরেই বাড়িতে ছিল। সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল। তবে বিভিন্ন ধরনের নেশা করতো চয়ন। এদিন কুড়ি টাকার জন্য দিদির সঙ্গে ভাগ্নের কথা কাটাকাটি হয়। সেই টাকা দিতে না পারার কারণেই কুড়ুল দিয়ে মাথায় কোপ মেরে দিদিকে খুন করেছে ভাগ্নে চয়ন।
আরও পড়ুন- Naihati: ফেরিঘাট 'বড়মা'র নামে, নৈহাটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিরাট ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
হবিবপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, বিভিন্ন ধরনের নেশায় আসক্ত ছিল ওই যুবক। কাজ না থাকার কারণে মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছিল। এদিন গুটকা খাবে বলেই মার কাছে কুড়ি টাকার বায়না ধরে সে। ওই প্রৌঢ়া সেই টাকা দিতে পারেনি বলেই এভাবে কুড়ুল দিয়ে হামলা চালিয়ে মাকে খুন করে ছেলে। এরপরেই স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্তকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।