ফের কি ভাঙছে গেরুয়া শিবির? ফের বড়সড় দলবদল? এবার বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি তথা খড়্গপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষের খাসতালুক! সম্প্রতি দুই বিজেপি বিধায়ক ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে গিয়েছিলেন বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল। বিজেপির দুই বিধায়ক ঘোষণা করে জানিয়ে দিয়েছিলেন এটা ডাহা মিথ্যা। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের খোলা দরজা দিয়ে লোক ঢুকতে চলেছে- তা ঘোষণা করে দিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি।
মাঝে মধ্যেই জল্পনা ছড়ায় খড়্গপুরের বিধায়ক অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে। তিনি নাকি শিবির বদলাতে পারেন। তারপরেই সেই গুঞ্জনে জল ঢল দেন ওই বিজেপি বিধায়ক। এদিকে খড়্গপুর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রদীপ সরকার পদত্যাগ করার পর ফের জল্পনা ছড়িয়েছে। তবে তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি বলেন, 'খড়্গপুরে চেয়ারম্যান এখনও ঠিক হয়নি। ওই পদে বিজেপির থেকে আসা কেউ বসবে না।' কিন্তু পশ্চিম মেদিনীপুরে বিজেপি ভাঙবে বলে দাবি করেছেন অজিতবাবু।
আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি কেশপুরে জনসভা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই জনসভায় যোগদান হতে পারে জল্পনা ছড়িয়েছে। অজিত মাইতি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, 'বিজেপির অনেকেই যোগাযোগ করছে। বিজেপি ভাঙবে। অভিষেকের সভার দিন বা তার আগেও যোগদান হতে পারে। কেশপুরে ২ লক্ষ লোকের জমায়েত করবে তৃণমূল কংগ্রেস।'
এর আগে কাঁথির জনসভা থেকে অল্প একটু দরজা খুলে দেওয়ার কথা শোনা গিয়েছিল ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণে। তাঁর আগে অভিষেক বলেছিলেন, লকগেট খুলে দিলেই সব ঢুকে যাবে। পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতার গলায় অভিষেকের দরজা খোলার সুর শোনা যাচ্ছে। তাহলে কী দিলীপ ঘোষের খাসতালুকেই ভাঙতে চলেছে গেরুয়া শিবির? অজিত মাইতির বক্তব্যের পর সেই আলোচনাই ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।
আরও পড়ুন- বেহাল রাস্তার নালিশ, মন্ত্রীর সামনেই অভিযোগকারীকে সপাটে চড় ‘দিদির দূত’ তৃণমূল নেতার