SSC Verdict News: জেলায় জেলায় চাকরিহারাদের প্রবল বিক্ষোভ জারি রয়েছে। মঙ্গলবারের পর বুধবারেও শহর কলকাতায় চাকরিহারাদের আগুনে বিক্ষোভ। কসবায় DI অফিসের সামনে বুধবার সকাল থেকে জমায়েত শুরু করেন চাকরিহারারা। কোনওভাবেই যাতে তাঁরা DI অফিসের ভিতরে ঢুকতে না পারেন সেব্যাপারে ব্যাপক পুলিশি প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তবে চাকরিহারাদের একাংশ এদিন পাঁচিল টপকে DI অফিসের ভিতরে ঢোকেন। কয়েকজন গেটের তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়েন। নাছোড় চাকরিহারাদের সামলাতে রীতিমতো নাজেহাল দশা হয় পুলিশের। পুলিশের সঙ্গে তুমুল ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় চাকরিহারাদের। টেনে-হিঁচড়ে চাকরিহারাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা পুলিশের। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। পুলিশের লাঠির ঘায়ে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন চাকরিহারা।
বুধবার সকাল থেকে কলকাতার কসবায় DI অফিসের সামনে জমায়েত শুরু করেন চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা। আগে থেকে ডিআই অফিস চত্বরে বিপুল পুলিশি প্রহরার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। এদিন চাকরিহারারা ডিআই অফিসে ঢোকার চেষ্টা করলে বাধা দেয় পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় চাকরিহারাদের। টেনে-হিঁচড়ে চাকরিহারাদের সরানোর চেষ্টা পুলিশের।
বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে রীতিমতো রাস্তায় ফেলে পেটাতে দেখা গিয়েছে পুলিশকর্মীদের। মাথায় হেলমেট পড়ে এদিন বেপরোয়া লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। পুলিশের লাঠির ঘায়ে গুরুতর আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকা। এদিন কসবায় ডিআই অফিস চত্বরে চাকরিহারা শিক্ষকদের লাথি-গলাধাক্কা দিতে দেখা যায় পুলিশকে।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live: 'দুর্গাপুজোয় গেলে ইফতারে যাব না কেন?', ফের সম্প্রীতির বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
এদিন বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটকও করেছে পুলিশ। এদিকে কসবায় এই লাঠিচার্জের ঘটনা নিয়ে পুলিশের প্রবল সমালোচনা শুরু হতেই পাল্টা আত্মপক্ষ সমর্থনে অবস্থান স্পষ্ট করেছে লালবাজার। লালবাজারের পুলিশকর্তারা সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতেই বাধ্য হয়ে লাঠিচার্জ করতে হয়েছে পুলিশকর্মীদের। এলাকার উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সামাল দিতেই লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন- Kunal Ghosh: 'করোনার সময় কেন মাইনে নিয়েছেন?', জবাবে কুণালকে ধুয়ে দিলেন প্রাক্তন শিক্ষক নেতা