SSC Verdict News Update: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে তাঁরও চাকরি বাতিল হয়ে গিয়েছে। এই খবর শোনা মাত্রই রাজ্যের আর হাজার-হাজার চাকরিপ্রাপকদের মতো তিনিও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। তবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের একটি স্কুলের এই শিক্ষিকা জানালেন, আদালত রায় দিলেও রাজ্য সরকার এই বিষয়টি নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি না করা পর্যন্ত তিনি স্কুলে আসবেন। চাকরি হারানো এই স্কুলেরই আরও এক শিক্ষিকা বললেন, "যোগ্য-অযোগ্যদের বাছাই করা গেল না। তার দায় আমরা যোগ্যরা কেন নেব?"
বারইপুরের সীতাকুণ্ড বিদ্যায়তন স্কুলের বায়োলজির শিক্ষিকা দেবশ্রী সাহা। তাঁর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সোদপুরে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তাঁরও চাকরি চলে গিয়েছে। সর্বোচ্চ আদালতের এই রায় শোনার পর স্বভাবতই চূড়ান্তভাবে ভেঙে পড়েছেন তিনিও। তবে সুপ্রিম কোর্ট এই রায় দিলেও এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন তিনি। দেবশ্রী ও তাঁর স্বামী দু'জনেই ২০১৬ সালের SSC-র প্যানেলভুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে তাঁদের দু'জনেরই চাকরি গিয়েছে।
এই রায় প্রসঙ্গে এদিন ওই শিক্ষিকা বলেন, "আদালতের রায় নিয়ে বলার মতো মন এখন নেই। আমি পরীক্ষা দিয়ে প্রথম এই চাকরিটাই পাই। আমি এবং আমার স্বামী দু'জনেই একই প্যানেলে চাকরি পাই। আমাদের দু'জনেরই চাকরি চলে গিয়েছে। রাজ্য সরকার এখন কী সিদ্ধান্ত নেয় সেদিকেই আমরা তাকিয়ে রয়েছি। বাড়িতে সন্তান বাবা-মা, শ্বশুর-শাশুড়ি সকলে রয়েছেন। প্রত্যেকেই আমাদের উপর নির্ভরশীল। আদালত রায় দিলেও সরকার কী সিদ্ধান্ত নেবে সেদিকে তাকিয়েই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।"
আরও পড়ুন- West Bengal News Live: ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, শিক্ষামন্ত্রীকে নবান্নে তলব মুখ্যমন্ত্রীর, বড়সড় পদক্ষেপের পথে সরকার?
ওই স্কুলেরই অঙ্কের শিক্ষিকা অঙ্কিতা ধর। তাঁরও চাকরি গিয়েছে। তিনিও ২০১৬ সালের প্যানেলভুক্ত। তিনি বলেন, "যোগ্য-অযোগ্যদের বাছাই করা গেল না। তার দায় আমরা যোগ্যরা কেন নেব? আমরা তো কোনও দোষ করিনি। এর দায় চাকরির নিয়োগকর্তাদেরই নিতে হবে। এই স্কুলে আমরা মোট ৬ জন SSC থেকে এসেছি। আমরা প্রত্যেকেই ২০১৬ সালের প্যানেলভুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা।"
আরও পড়ুন- SSC Recruitment Case Verdict:একসঙ্গে ১১ শিক্ষকের চাকরি গেছে, দুশ্চিন্তায় সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রামের স্কুলের প্রধান শিক্ষক
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অশিক্ষক কর্মচারীর চাকরি চলে গিয়েছে। চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে বারুইপুরের সীতাকুণ্ড বিদ্যায়তন স্কুলেরও ৬ জন রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজন শিক্ষক ও তিনজন শিক্ষিকা।