SSC Verdict News: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) রায়ে রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অশিক্ষক কর্মচারীর চাকরি বাতিল হয়েছে। গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানিয়েছিলেন, বঞ্চিত এবং যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের পাশে তাঁরা থাকবেন। আজ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গলাতেও শোনা গেল সেই একই সুর। চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনেকেই শুক্রবার স্কুলে যাননি। সাংবাদিকদের কাছ থেকে একথা শোনার পর এ ব্যাপারে নিজের প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা আর স্কুলে যাবেন কিনা এই প্রশ্নের উত্তরও মিলেছে ব্রাত্য বসুর কাছ থেকে।
দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে ২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) পুরো প্যানেল বাতিল করা হয়েছে। একসঙ্গে চাকরি হারিয়েছেন এ রাজ্যের ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অশিক্ষক কর্মচারী।অযোগ্যদের পাশাপাশি চাকরিহারাদের মধ্যে রয়েছেন হাজার-হাজার যোগ্য চাকরিপ্রাপকরাও। গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন বঞ্চিত এবং যোগ্য চাকরি প্রাপকদের পাশে তাঁর সরকার থাকবে।
শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গলাতেও সেই এক সুর। তিনি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন, সর্বোতভাবে আমরা বঞ্চিত এবং যোগ্য যাঁরা তাঁদের পাশে থাকব। মানবিকভাবে থাকব, রাজনৈতিকভাবেও থাকব। বেতন ফেরতের প্রসঙ্গ প্রধান বিচারপতির নির্দেশাবলীতেই আছে। যোগ্য ও অযোগ্যদের যে প্রসঙ্গ আসছে, সেটা তো SSC-র দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করেই বলা হচ্ছে। তাহলে SSC যে যোগ্য ও অযোগ্যদের আলাদা করতে পারেনি সেটা ঠিক নয়। বলা যেতে পারে এসএসসি-র দেওয়া তথ্যে হয়তো আদালত সন্তুষ্ট হয়নি। যোগ্য ও অযোগ্যদের একটা ভাগাভাগি প্রধান বিচারপতির রায়ের পর আমরা বুঝতে পারছি। একটা মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি যাতে সব তরফ থেকেই বেরোয়, আমরা সেই আবেদন করব।"
আরও পড়ুন- West Bengal News Live: 'চাকরিহারা শিক্ষকরা এখন আর স্কুলে যেতে পারেন?', কী জানালেন শিক্ষামন্ত্রী?
শুক্রবার চাকরিহারা বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা স্কুলে যাননি। রাজ্যের একাধিক জেলা থেকে উঠে এসেছে এই ছবি। এদিন সাংবাদিকদের কাছ থেকে একথা শুনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, "শিক্ষক-শিক্ষিকারা যে স্কুলে যাচ্ছেন না এই তথ্য আমার মনে হয় ঠিক নয়। আমাদের কাছে এমন কোনও তথ্য নেই।" তবে কি শীর্ষ আদালতের রায়ে চাকরি হারিয়েও চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা স্কুলে যেতে পারেন? এই প্রশ্নের উত্তরে ব্রাত্য বসু বলেন, "আমি তো একথা বলেতে পারি না। প্রধান বিচারপতির নির্দেশের পর SSC জানিয়েছে তাঁরা মহামান্য প্রধান বিচারপতির কাছে ক্ল্যারিফিকেশন চাইবে। তার আগে মুখ্যমন্ত্রী যে মানবিক বার্তা দিয়েছেন, তার ওপর শিক্ষকদের ভরসা রাখতে বলব।"