Madhyamik 2025: মাধ্যমিক শেষ হতেই বই-খাতা ছিঁড়ে 'সেলিব্রেশন', পড়ুয়াদের মানসিকতায় উদ্বিগ্ন শিক্ষক-শিক্ষিকারাও

Madhyamik Exam 2025: সদ্য সেষ হয়েছে এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা। এই পরীক্ষা শেষ হতেই শহর কলকাতার পাশাপাশি একাধিক জেলায় পরীক্ষার্থীদের বই-খাতা ছিঁড়ে উচ্ছ্বাসে মেতে উঠতে দেখা গিয়েছে।

author-image
Nilotpal Sil
আপডেট করা হয়েছে
New Update
Madhyamik Exam 2025:মাধ্যমিকে প্রশ্ন ফাঁসের বিভ্রান্তি

Madhyamik Exam 2025: সদ্য শেষ হয়েছে এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা।

student have torn their books and make celebration on occasion of ending madhyamik exam 2025: পড়ুয়া জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা মাধ্যমিক (Madhyamik)। মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর পড়ুয়াদের উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনার বিষয়টি নতুন ঘটনা নয়। তবে এবারের মাধ্যমিক শেষে শহর কলকাতার পাশাপাশি রাজ্যের একাধিক জেলায় একাংশের পড়ুয়ারা যেভাবে সেলিব্রেশনে মাতলেন তাতে অবাক হয়েছেন অনেকেই। মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষের পর বই-খাতা ছিঁড়ে কুচি কুচি করে রাস্তায় উড়িয়ে চলে সেলিব্রেশন। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে এমনই বেশ কিছু ভিডিও। যা দেখে শিক্ষানুরাগী মানুষজন বেশ উদ্বিগ্ন। পড়ুয়াদের একাংশের এই ধরনের মানসিকতার পিছনে সোশ্যাল মিডিয়াকে দায়ী করছেন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কেউ কেউ।

Advertisment

সদ্য শেষ হয়েছে এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা। মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষের দিন কলকাতা ছাড়াও আলিপুরদুয়ার, বীরভূম, উত্তর ২৪ পরগনা, মালদায় বেশ কিছু পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে দেখা গেল অবাক করা ছবি। সদ্য পরীক্ষা শেষ করেই একদল পরীক্ষার্থী তাদের সঙ্গে থাকা মাধ্যমিকের বই-খাতা ছিঁড়ে কুচি-কুচি করে শূন্যে উড়িয়েছে। সেই সঙ্গে শুরু হয় প্রবল উল্লাস। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন ব্যতিক্রমী উচ্ছ্বাসের সেই ছবি রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে। 

যে মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য টানা দু'বছর ধরে তিলে তিলে নিজেদের গড়ে তুলেছিল পরীক্ষার্থীরা, জীবনের সেই প্রথম বড় পরীক্ষা শেষে এমন নজিরবিহীন উল্লাস রীতিমতো চর্চায়। এই ধরনের উচ্ছ্বাসের তীব্র সমালোচনায় সরক খোদ শিক্ষক-শিক্ষিকারাই। পরীক্ষা শেষের দিনে তাদের এই আচরণ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা প্রশ্ন করতেই অনেক পড়ুয়া বলেন, "পরীক্ষা তো শেষ আর বই রেখে লাভ কী?" বই-খাতা ছিঁড়ে ওড়ানোর কারণ হিসেবে অনেকে আবার মাধ্যমিক পরীক্ষার হলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কড়া নজরদারিকে দায়ী করেছে। 

আরও পড়ুন- Baruipur News: মাত্র এক বছরেই ভোটার বেড়েছে ৩-৪ হাজার, ভূতুড়ে কাণ্ডে তোলপাড় বারুইপুরের চম্পাহাটিতে

Advertisment

তবে পড়ুয়াদের একাংশের এই আচরণে ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের বিচরণকেও দায়ী করছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বারুইপুরের চম্পাহাটি নীলমণিকর বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা চরিত্রা দাশগুপ্ত। ছাত্রছাত্রীদের এমন মানসিকতা প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার প্রতিনিধিকে তিনি বলেন, "আধুনিকতার এই যুগে শিক্ষার প্রতি যেন শ্রদ্ধাটাই চলে গিয়েছে অনেক পড়ুয়ার। মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের দুনিয়ায় বইয়ের গুরুত্ব কমেছে। বই পড়ে জানার আগে ছাত্রছাত্রীদের একাংশ গুগল সার্চ করে প্রশ্নের উত্তর জানতেই বেশি উৎসাহী। স্বভাবতই বইয়ের প্রতি আগের মতো আগ্রহ থাকছে না।"

আরও পড়ুন- West Bengal News Live:ফের হাওড়ায় শুটআউট, পুলিশ অফিসারের পর এবার ব্যবসায়ীকে পরপর গুলি

ওই শিক্ষিকা আরও বলেন, "অনেক পড়ুয়াই স্কুলকে এখনও আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখছে না। বরং লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যেদিন স্কুলে কন্যাশ্রীর ফর্ম দেওয়া হচ্ছে কিংবা সাইকেল বিলির কর্মসূচি থাকছে সেদিনই সরকারি স্কুলগুলিতে পড়ুয়াদের উপস্থিতি বাড়ছে। অন্যান্য দিনগুলিতে স্কুলে যাওয়ার ব্যাপারেও আগ্রহ দেখাচ্ছে না পড়ুয়াদের একটি বড় একাংশ। সর্বোপরি একাংশের পডুয়াদের কাছে বইয়ের গুরুত্ব কমে যাওয়াটাই তাঁদের এই ধরনের মানসিকতার কারণ বলে মনে হয়।" 

MADHYAMIK Bengali News Today news in west bengal news of west bengal Madhyamik 2025