/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/02/students-2025-09-02-09-21-12.jpg)
কলেজের অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি জমা দিলেন ছাত্রছাত্রীরা।
ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষার তিনটি বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজাল্ট পোর্টালে আপলোড করা হয়নি। সেই কারণেই 'অনুত্তীর্ণ' হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া কলেজের ৯২ জন ছাত্রছাত্রী। ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এই ছাত্রছাত্রীরা এখন অথৈ জলে পড়ে গিয়েছেন। উচ্চ শিক্ষার জন্য আবেদনপত্র তাঁরা এখন তুলতে পারছেন না। লেখাপড়ার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিৎ হয়ে পড়ায় সমস্যার সমাধানের দাবিতে সোমবার কলেজের অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি জমা দিলেন ছাত্রছাত্রীরা।
কলেজের অধ্যক্ষ নির্মলেন্দু সরকার এ নিয়ে জানান, বিভাগীয় প্রধানদের গাফিলতির কারণেই ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ বিপন্ন হয়েছে। ফল সংশোধনের জন্য বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলে অধ্যক্ষ জানিয়েছেন। পড়ুয়াদের দাবি, “ভর্তি প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শেষের পথে। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার শেষ দিন। তার মধ্যে যদি নম্বর সংশোধন না হয় তবে তাঁদের একটা বছর নষ্ট হবে।"
কাটোয়া কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান সৈয়দ আব্দুল কাদের এদিন স্বীকার করেন, “যে সময় পোর্টাল চালু হয়েছিল সেই সময় তিনি অসুস্থ অবস্থায় আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। তখন যোগাযোগের ঘাটতি হয়েছিল।ঘটনার জন্য তিনি দায় স্বীকার করেন।” একইভাবে ইতিহাস বিভাগের প্রধান রবি রঞ্জন সেনও স্বীকার করেন,“তাঁদের গাফিলতির ফলেই এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে দ্রুত সমস্যার সমাধানের চেষ্টা তাঁরা চালাচ্ছেন ।তাঁর প্রত্যাশা খুব শীঘ্রই সমাধান হবে।”
এদিকে এমন ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক চাপান উতোরও শুরু হয়েছে। কাটোয়া শহর তৃণমূল কংগ্রেসের কনভেনার কচি শেখর অভিযোগ, “প্রতিবছর কাটোয়া কলেজে নম্বর বিভ্রাটের কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অনেকেই ইয়ার লসের শিকার হচ্ছে।ডিপার্টমেন্টের গাফিলতির দায় তাদেরকেই নিতে হবে। এই অবস্থার পরিবর্তন না হলে প্রয়োজনে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামবো।”
তবে যে যাই আশার কথা শোনাক না কেন বিভ্রান্তি ও আশঙ্কার মধ্যেই ছাত্র-ছাত্রী ও তাঁদের অভিভাবকরা এখন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্তক্ষেপের দিকেই তাকিয়ে আছেন। ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগেই সমস্যার সমাধানের আশা নিয়ে তাঁরা অপেক্ষমান রয়েছেন।"