Subhendu Adhikari On voter list fraud: হিন্দুদের জন্য ‘স্বদেশভূমি’র দাবিতে এবার স্বাধীনতা দিবসের পর রাস্তায় নামার ঘোষণা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানিয়েছেন, “রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের মুক্ত বাংলা চাই। শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর স্বপ্নের মত একটি নিরাপদ বাংলা গড়ে তুলতেই আমরা পথে নামব।”
রাজ্যজুড়ে তৃণমূল কংগ্রেস যখন বাংলা ভাষাভাষীদের উপর ‘অত্যাচার’-এর বিরুদ্ধে ভাষা আন্দোলনে সরব, ঠিক তখনই বিজেপির পক্ষ থেকে 'অনুপ্রবেশের' অভিযোগ আরও জোরদার করা হল। শুভেন্দুর দাবি, রাজ্যে ভোটার তালিকায় ব্যাপক কারসাজি চলছে।
ভোটার তালিকায় বাংলাদেশি মহিলাদের নাম, অভিযোগ শুভেন্দুর
শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, “বাংলাদেশ থেকে আসা বহু মুসলিম মহিলার সঙ্গে রাজ্যের মুসলিম পরিবারের বিয়ে হচ্ছে। তাদের নাম ভোটার তালিকায় ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তারা আধার ও EPIC কার্ডও পাচ্ছে। অনেকেই ভিসা ছাড়াই থেকে গিয়েছেন। এসবই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সীমান্ত নিরাপত্তাহীনতার ফসল।” তিনি আরও বলেন, “বিহারে যখন ৫০ লক্ষ ভুয়ো ভোটার বাদ পড়েছে, তখন পশ্চিমবঙ্গে অন্তত ১ কোটি ২৫ লক্ষ বাংলাদেশি মুসলিম ও রোহিঙ্গা রয়েছে, যারা ভোটার তালিকায় আছে।”
বিরোধী দলনেতার আরও অভিযোগ, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বড় সংখ্যায় আবাসিক শংসাপত্র জারি করার। তিনি বলেন, “২৪ পরগনা (উত্তর ও দক্ষিণ), নদীয়া, মালদা, মুর্শিদাবাদ, দিনাজপুর (উত্তর ও দক্ষিণ), বীরভূম ও কোচবিহার— এই সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে শংসাপত্রের বন্যা বইছে। এভাবেই বাংলাদেশি মুসলিম ও রোহিঙ্গাদের বৈধতা দেওয়ার চক্রান্ত।” তিনি আরও বলেন, “এখন পর্যন্ত ওই আট জেলায় ৭৫ হাজার বাংলাদেশি মুসলিমকে ফর্ম ৬ (ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির আবেদন) দেওয়া হয়েছে। এটা একটা সাংবিধানিক জালিয়াতি।”
শুভেন্দু আরও বলেন, “আমি ভারতের মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি লিখে জানাব, ২৬ জুলাইয়ের পর যেসব আবাসিক শংসাপত্র জারি হয়েছে, তা বাতিল করা হোক। পাশাপাশি জেলা প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিচ্ছি, যদি তারা ফর্ম ৬ গ্রহণ করে এইসব ভুয়ো নাগরিকদের তালিকাভুক্ত করেন, তাহলে পরিণতি হবে ‘ভয়াবহ'।
তৃণমূলের পাল্টা দাবি: বিভাজনের রাজনীতি করছে বিজেপি
তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যদিও বিজেপির এই দাবিকে “ভোটের আগে হিন্দু-মুসলিম বিভাজনের কৌশল” বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তৃণমূলের তরফে বলা হয়েছে, “বাংলা কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। বিজেপি অনুপ্রবেশ নিয়ে শুধু মুসলিমদের নিশানা করছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক।”