/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/22/stray-dog-supreme-court-2025-08-22-15-01-58.jpg)
পথকুকুরদের খাওয়ানোটা কী আপনার অভ্যাস? বিরাট রায় শীর্ষ আদালতের
Supreme Court on Stray Dog: গত এক সপ্তাহ ধরে দিল্লিতে পথকুকুরদের নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় চলেছে। সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ গত সপ্তাহে নির্দেশ দিয়েছিল, রাজধানী এবং রাজধানী সংলগ্ন অঞ্চলের সমস্ত পথ কুকুরদের তুলে নিয়ে গিয়ে 'নির্দিষ্ট শেল্টারে' রাখতে হবে। কুকুরের কামড়ে বহু মানুষ আক্রান্ত হওয়ার পর এই রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল নাগরিক সমাজের একটি বড় অংশ। পশুপ্রেমী বিভিন্ন সংগঠন সুপ্রিম কোর্টে রায় পুনর্বিবেচনার আপিল করেছিল। এমনকী প্রধান বিচারপতিররও হস্তক্ষেপের অনুরোধ করা হয়েছিল। আদালত কেবল দিল্লি নয়,অন্যান্য রাজ্যকেও এই বিষয়ে নোটিশ জারি করেছে।
এরপর প্রধান বিচারপতির নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টে একটি নতুন বেঞ্চ তৈরি করা হয়। শুক্রবার বেঞ্চ এই মামলার পরিবর্তিত রায় ঘোষণা করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, পথ কুকুরকে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্দিষ্ট শেল্টারে রেখে নির্বীজকরণ করতে হবে। একই সঙ্গে তাকে ভ্য়াকসিন দিতে হবে। এরপর আবার তাকে যেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেখানে গিয়ে ছেড়ে দিতে হবে। অর্থাৎ, পুরনো রায় থেকে অনেকটাই সরে এসেছেন বিচারপতিরা।
আরও পড়ুন- কলকাতার এই এলাকা যেন অঘোষিত 'বৃদ্ধাশ্রম', সেখানেই বৃদ্ধা খুনে তুঙ্গে আতঙ্ক!
তবে পাশাপাশি আরও বেশ কিছু নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বলা হয়েছে, কোনো কুকুর যদি অসুস্থ হয় কিংবা আগ্রাসী স্বভাবের হয় তাহলে তাকে আশ্রয়কেন্দ্রেই রাখা হবে, রাস্তায় ছাড়া হবে না। আশ্রয়কেন্দ্রে কুকুরদের সমস্ত রকম পরীক্ষার পরেই কাকে রাস্তায় ছাড়া হবে এবং কাকে ছাড়া হবে না তা ঠিক করতে হবে।
Supreme Court orders that no public feeding of dogs will be allowed, and dedicated feeding spaces for stray dogs to be created. Supreme Court says there have been instances due to such feeding instances. https://t.co/XKbWVyRwwd
— ANI (@ANI) August 22, 2025
আরও একটি বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বলা হয়েছে, প্রকাশ্য রাস্তায় কুকুরদের খাওয়ানো যাবে না। রাস্তার কুকুরদের খাওয়ানোর জন্য কিছু নির্দিষ্ট জায়গা তৈরি করতে হবে এবং শুধুমাত্র পুরসভাই তাদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করতে পারবে। যত্রতত্র কুকুরদের খাবার দেওয়া যাবে না। কেউ সে কাজ করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতিরা। শুধু তা-ই নয়, রাস্তা থেকে কোনো কুকুরকে বাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া যাবে না। পুরসভার অনুমতি নিয়ে সে কাজ করতে হবে। কারা পথকুকুর ধরতে পারবেন, তাদের রাখার জন্য কোথায় নিয়ে যেতে হবে, এই সমস্ত বিষয়েই নির্দিষ্ট নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কুকুর ধরতে আসার সময় কেউ বাধা দিলে তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন- পুজোর আগে বাংলাকে বড় উপহার মোদীর, এখন মাত্র ৩০মিনিটেই আরামে পৌঁছান হাওড়া থেকে সেক্টর ফাইভ!
আগামী সপ্তাহে আবার এই মামলার শুনানি হবে। শুধু দিল্লি নয়, গোটা দেশেই এই সংক্রান্ত যা যা মামলা আছে, তা একত্রিত করে শুনানির কথা বলেছে আদালত। আজকের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে, সুপ্রিম কোর্ট ১১ আগস্টের সেই সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে, যেখানে দিল্লি এনসিআরের সমস্ত পথ কুকুরকে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানোর জন্য বলা হয়েছিল শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, আর কোনওভাবেই প্রকাশ্যে (পাবলিক প্লেসে) পথকুকুরদের খাওয়ানো যাবে না। আদালতের নির্দেশ, এর জন্য আলাদা খাবারের জায়গা তৈরি করতে হবে। বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, প্রকাশ্যে খাওয়ানোর কারণেই বিভিন্ন সময়ে নানা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে।