/indian-express-bangla/media/media_files/2025/02/07/cZ1eq83jg12Qj6lFAIPn.jpg)
Supreme Court: সুপ্রিম কোর্ট।
Supreme Court On Waqf Protest: 'ওয়াকফ সংশোধনী আইন প্রত্যাহারের দাবিতে হিংসার আগুন জ্বলে ওঠে বাংলার মুর্শিদাবাদ জেলায়। সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। যার জেরে প্রাণহানি পর্যন্ত ঘটেছে। এবার অফ হিংসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট।
'যারা ঘটনা ঘটাচ্ছে পুলিশ তাদের চেনে, ভেবেচিন্তে অ্যাকশন নিতে হয়', মন্তব্য তৃণমূল সাংসদের
ওয়াকআপ সংশোধনী আইন নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে একগুচ্ছ মামলা দায়ের হয়েছে। বুধবার শীর্ষ আদালতে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে একত্রে সেই মামলার শুনানি হয়। আমরা শুনানি পর্বে কেন্দ্রীয় সলিসিটার জেনারেল সওয়ালে জানান, মামলা যখন আদালতে তখন এই ধরনের হিংসা ঠিক নয়। চাপ প্রয়োগের জন্য হিংসার ব্যবহার ঠিক নয়।
দেশের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে চলা হিংসার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এদিন বলেছেন, " অশান্তি নিয়ে আমি চিন্তিত। ২৬ নম্বর ধারা ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে। এটা সব সম্প্রদায়ের জন্যই প্রযোজ্য। হাইকোর্টের মামলা ফেরত পাঠানো ঠিক হবে না। আমরাই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব"। আগামীকাল বেলা দুটোর পর শীর্ষ আদালতে ফের ওয়াকফ আইন নিয়ে চ্যালেঞ্জ করে মামলার শুনানি হবে।
মুর্শিদাবাদের অশান্তির তদন্তে SIT গঠন, 'দাঙ্গাবাজদের কাউকে রেয়াত নয়', হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর
ওয়াকফ সংশোধনী আইন দেশে কার্যকর হওয়ার পর থেকে প্রতিবাদের স্রোত বয়ে যায় পশ্চিমবঙ্গে। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলায় তুমুল অশান্তি তৈরি হয়। এই আইন প্রত্যাহারের দাবিতে পথে নেমে সোচ্চার হোন হাজার হাজার মানুষ। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ওয়াকফ প্রতিবাদ রূপ নেয় সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের। মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর থেকে শুরু হওয়া সেই সংঘর্ষ বিদ্যুৎ গতিতে ছড়িয়ে পড়ে সুতি, শামশেরগঞ্জ, ধুলিয়ান সহ বিভিন্ন এলাকায়। রাজ্য পুলিশ পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খায়। মুর্শিদাবাদ বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জেলা। তড়িঘড়ি আইন-শৃঙ্খলার অবনতি রুখতে মাঠে নামে বিএসএফ। পরবর্তী সময়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মুর্শিদাবাদে দাঙ্গা পরিস্থিতি মোকাবিলায় নামানো হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। রাজ্য পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে এরপর অশান্তি বিধ্বস্ত এলাকাগুলিতে শুরু হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহল। পরিস্থিতি এখন ধীরে ধীরে স্বাভাবিকের পথে।